নতুন পরিচালনা পর্ষদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন চেয়ারম্যান।
অন্য ব্যাংকের চেয়ে ইসলামী ব্যাংক অনেক শক্তিশালী উল্লেখ করে এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ইসলামী ব্যাংকে ঘুষ দিয়ে লোন নেওয়ার কথা আমি কখনো শুনিনি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের এক্সকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. জিল্লুর রহমান, পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল হামিদ মিঞা প্রমুখ।
তার কথা ধরে এমডি বলেন, আমরা বড় খাতে বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছি। এসএমই সেক্টর তথা ছোট ছোট ঋণে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছি। গত বছর এসএমই সেক্টরে ৪৪ শতাংশ ঋণে বিনিয়োগ করেছি। নতুন বছরে তা বাস্তবায়ন করবো।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের আমানতের (ডিপোজিট) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা বেশি। আর শতাংশের হিসেবে ১০ দশমিক শতাংশ বেড়েছে।
গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে এক কোটি ২৫ লাখে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে আরাস্তু খান বলেন, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক আমদানি, রফতানি ও রেমিটেন্স আহরণ বাণিজ্য করেছে যথাক্রমে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি, ২৪ হাজার কোটি এবং ২৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, বড় বড় ব্যাংক থাকবে না। আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসবে। ব্যাংকগুলো টেকনোলজি বেইজড হয়ে যাবে। বিশেষ করে ফাইনেন্সিয়াল টেকনোলজি বেইজড হবে। যেমন- বিকাশ, ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংকিং।
‘তাই আমরা নতুনভাবে ইন্টারনেট ব্যাংকিং কাজের পরিকল্পনা নিয়েছি। সেভাবেই এগোবো। কারণ চলতি বছর এ খাত থেকে ২৬ শতাংশ গ্রোথ হয়েছে’।
এছাড়াও ব্যাংকটি গত বছর নতুন করে ১৪টি শাখা চালু এবং ব্যাংকিং সেবায় গ্রামগঞ্জের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান চেয়ারম্যান আরাস্তু খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস