জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, প্রাইম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে যায়।
এরপর তথ্য পর্যালোচনা করে জানতে পারে, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের করমেয়াদে জেনারেল লেজার অনুযায়ী পরিশোধযোগ্য মূসকের পরিমাণ ১২ কোটি ৩১ লাখ ৮৩২ টাকা ৩০ পয়সা। অপরদিকে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের মূসক দপ্তরে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মাসিক দাখিলপত্রে প্রদর্শিত মূসকের পরিমাণ ৭ কোটি ২ লাখ ১৮ হাজার ২৫৫ টাকা ১৯ পয়সা।
তথ্য অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড শুধু ডিসেম্বর মাসেই ৫ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫৭৭ টাকা ১১ পয়সার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এমন কার্যকলাপ মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৩ এর উপধারা (১), (৩) ধারা ৫ এর উপধারা (৪), ধারা ৬ এর উপধারা (৩) ও (৪ঘ) এবং মূল্য সংযোজন কর বিধিমালা, ১৯৯১ এর বিধি ১৮ (ক), (খ), বিধি (২৩) ও ২৪ লঙ্ঘন।
প্রাইম ব্যাংক ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ায় মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৫৫ এর উপধারা (১) অনুযায়ী প্রাথমিক দাবিনামা পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফাঁকিকৃত অর্থ কেন পরিশোধ করা হবে তার কারণসহ জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মনিরুজ্জামান টিপু বাংলানিউজকে বলেন, প্রাইম ব্যাংকের ভ্যাট ফাঁকির বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কমিশনার মো. মতিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রাইম ব্যাংক পরিদর্শনে যায় দপ্তরের একটি টিম। তখন প্রতিষ্ঠানটির তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এরপর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানটি মূসক ও উৎসে মূসক বাবদ ৫ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। সেজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে আর চিঠির জবাব ১৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে। অন্যথায় চূড়ান্ত দাবিনামা জারি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
এসজে/এমজেএফ/