ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ব্যাংকিং

গ্রাহক সেবা টিম গঠন করেছে প্রাইম ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
গ্রাহক সেবা টিম গঠন করেছে প্রাইম ব্যাংক প্রাইম ব্যাংকের ২৪ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান/ছবি- সুমন শেখ

ঢাকা: এসএমই ও রিটেইল ব্যাংকিংয়ে জোর দেওয়ার পাশাপাশি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দেওয়ার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্ট করার জন্য একটি শক্তিশালী টিম গঠন করেছে বেসরকারি খাতের ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।
 

সোমবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে প্রাইম ব্যাংকের ২৪ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাহেল আহমেদ।
 
তিনি বলেন, গত তিন বছরে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবসা কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে।

আম‍াদের কাঠামো এখন বিশ্বের যেকোনো শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো। ২০২১ সালকে টার্গেট করে প্রাইম ব্যাংকের প্রণয়ন করা কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্য পূরণের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ওয়ান ব্যাংক, ওয়ান টিম’।
 
১৯৯৫ সালের ১৭ এপ্রিল যাত্রা শুরু করা বেসরকারি ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ ১৯ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। বিনিয়োগ করেছে ১৯ হাজার ৮৩২ কোটি টাক‍া। দেশব্যাপী ১৪৫টি শাখা, ১৭০টি এটিএম বুথ ও ৩টি মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্যাংকটি।  

রাহেল আহমেদ বলেন, স্বচ্ছতা বজায় রেখে টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে মুনাফা করেছি। দেশে কনজ্যুমার ব্যাংকিং, সিন্ডিকেট ঋণ, ইসলামী ব্যাংকিং সবার আগে শুরু করেছে প্রাইম ব্যাংক।

এসএমই ও কনজ্যুমার ব্যাংকিংয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে ঢেলে সাজানো হবে। এবিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে এসএমই ও কনজ্যুমার ব্যাংকিংয়ের প্রডাক্টে পরিবর্তন আসবে।
 
ব্যাংকগুলোর আমানত সংকটের বিষয়ে এমডি বলেন, আমরা কিছু প্রতিযোগিতার মুখোমুখি আছি। তারল্য সংকট নেই। অসামঞ্জস্য আছে। সামঞ্জস্য ফিরিয়ে আনতে একুট ধৈর্য ধরতে হবে। সিআরআর ১ শতাংশ কমানোর ফলে রাতারাতি সুদহার কমবে না। অপেক্ষা করতে হবে ৬ থেকে ৮ মাস।
 
রাহেল আহমেদ বলেন, ব্যালেন্সশিটে প্রাইম ব্যাংকের এডিআর ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে। আমরা কোনো সময় ডাবল ডিজিটে আমানত সংগ্রহ করিনি। বর্তমানে আমাদের ব্যাংকে আমানতের সুদ গড়ে ৮ শতাংশের মধ্যে।
 
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রাইম ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, সবকিছুতে স্বচ্ছতা বজায় র‍াখায় মুনাফা গতবছরের চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে। আমাদের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের কিছু বেশি। খেলাপি ঋণ আদায়ে প্রতিটি বিভাগীয় কার্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে সবসময় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগামী বছর খেলাপি ঋণের পারফরমেন্স অনেক ভালো হবে বলে আশা করছি।  
 
ঋণ বিতরণ ও আদায়ে ৫টি বিভাগীয় শহরে আমাদের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এ বছর তা আটটিতে উন্নীত করা হবে। আশা করছি গত ২৩ বছরের মতো সামনের দিনগুলোতে গ্রাহকদের আস্থা বজায় রাখতে পারবো।
 
এ সময় অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম রাব্বানী, মো. তৌহিদুল আলম খান, সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরীসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।