ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

পর্যবেক্ষক প্রত্যাহার চায় জনতা ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
পর্যবেক্ষক প্রত্যাহার চায় জনতা ব্যাংক

ঢাকা: অনিয়ম, দুর্নীতি, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া রোধ, বেনামি ঋণ প্রদান, অবৈধ অর্থায়ন ও পর্ষদে অন্তর্কোন্দল ঠেকাতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। এখন সেই পর্যবেক্ষকের প্রত্যাহার চাইছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী সাইদুর রহমানের প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আহাদ আলী।  

প্রায় তিন মাস আগে সাইদুর রহমানকে জনতা ব্যাংকের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়।

এর আগে তিনি সোনালী ব্যাংকের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।  
 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্যায় কাজে পর্যবেক্ষকের সমর্থন না পাওয়ায় এখন ব্যাংকগুলো পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তুলছে। সরকারের উচিত বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া।  
 
অর্থমন্ত্রীর কাছে করা ওই আবেদনে বল‍া হয়েছে, প্রায় তিন মাস আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী সাইদুর রহমানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগদানের পর থেকে নিজের ইচ্ছামত সব সিদ্ধান্ত ব্যাংকের পর্ষদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। সাইদুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হওয়ায় এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে ভুল সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধমক দিয়ে কথা বলছেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে তার কর্মকান্ড ব্যাংকের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
 
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও জনতা ব্যাংকের পর্যবেক্ষক কাজী সাইদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাকে কলা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।  
 
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক সূচক ‘ক্যামেলস’ রেটিং ৩ বা তার বেশি হলে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর ক্যামেলস রেটিং ৩ বা তার বেশি হওয়ায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোর পেছনে বড় ধরনের জালিয়াত চক্র সক্রিয়। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধির উপস্থিতির কারণে পরিচালনা পর্ষদের সভায়  নিয়মবহির্ভূত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। তাই পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়ে থাকে।

এদিকে জনতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে একক ঋণ বিতরণে বড় ধরনের কেলেঙ্কারির। পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যাংকটির স্থানীয় শাখার ম্যানেজার নিয়মবহির্ভূতভাবে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করেন অ্যাননটেক্সকে।  
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান বলেন, অভিযোগটি আমাদের কাছে এসেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।