বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়ে অতিরিক্ত সুদ আদায়ের কারণ আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সূত্র জানা গেছে, নীতিমালার আলোকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ক্রেডিট কার্ডের ঋণের বিপরীতে অন্যান্য ঋণের চেয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বেশি সুদ আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না ১৮টি ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা চিঠি পেয়েছি। সুদ বেশি হওয়ার কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংককে যথা সময়ে জানানো হবে।
ক্রেডিট কার্ডের সুদ হার সহনীয় মাত্রায় রাখার জন্য গত বছরে মে মাসে ক্রেডিট কার্ড নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ভোক্তা ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হারের তুলনায় আরও ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি হারে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হার নির্ধারণ করা হয়।
পরে ব্যাংকগুলোর চাপে তা ওই বছরের আগস্টেই আবার নীতিমালা সংশোধন করে বিদ্যমান ঋণের সুদের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ সুদ যোগ করে ক্রেডিট কার্ডের সুদহার নির্ধারণ করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত বছরের ডিসেম্বর শেষে সব ব্যাংক মিলে ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ৬ লক্ষাধিক। ধারবাহিকভাবে সবচেয়ে বেশি কার্ড রয়েছে দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এসই/এমজেএফ