সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, ঈদুল আজহার আগে কোরবানির পশুর হাটে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকার লেনদেন হয়। সেখানে সুযোগ পেলেই প্রতারক চক্র জাল টাকা চালিয়ে দেয়।
এতে প্রতারিত ও নিঃস্ব হয় গ্রামের গরুর মালিক ও বিক্রেতারা। প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগে পশুর হাটগুলোতে এ ধরনর ঘটনা ঘটেও। তাই সারাদেশের পশুর হাটগুলোতে জাল টাকা প্রতিরোধের পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার টহল বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে ৫শ’টি জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিন সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে ওই চিঠিতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এ বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশেনর বিভিন্ন অঞ্চলে ৭টি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৩টি হাটে দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর জাল টাকা শনাক্তকারী বুথ থাকবে।
বিগত কয়েক বছর ধরে এসব পশুর জাল টাকা শনাক্তকারী বুথ স্থাপন করা হয়। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মেশিন সরবরাহ করা হয়। যেসব মেশিন অচল হয়ে গেছে। সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন মেশিন সরবরাহ করা হবে। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে মেশিনের চাহিদাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের আগে চলতি বছরের ৭ জুন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার জালনোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ১০জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, আইনি জটিলতার কারণে দেশের আদালতগুলোকে জাল টাকার প্রায় সাত হাজার মামলার বিচার কার্যক্রম ঝুলে আছে। আইনের দুর্বলতায় সহজেই জামিনে বেরিয়ে আসেছে অপরাধীরা। চলতি বছরের প্রথম ছয়মাসে (জানুয়ারি-জুন) মামলা হয়েছে ৮৫টি। এরমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ২২টি মামলা।
জাল টাকা প্রতিরোধে দেশের সব ব্যাংকের শাখায় পোস্টার ও ভিডিও বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়াও ঈদের আগে তিন সপ্তাহ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আসল টাকার নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে প্রচারে নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর প্রতিটি পশুর হাটে কমপক্ষে একটি জাল টাকা শনাক্তকারী বুথ বসানো হবে। সারাদেশের হাটগুলোতেও চেষ্টা করছি মেশিন স্থাপনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৮
এসই/এএটি