কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক স্প্রেড হিসাবায়ন করে থাকে। যা আমানত ও আগামের ভারিতগড় সুদ হারের ব্যবধান যৌক্তিকীকরণসহ আর্থিক নীতি নির্ধারনে ব্যবহৃত হয়।
রোববার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে। আগস্ট মাস থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের আমানত ও ঋণের সুদহারের তথ্য থাকে। ঋণ, আমানতের সুদহার ব্যাংক ও আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এ দুটোর পার্থক্য থেকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক বের করা হয়ে থাকে। যাকে বলা হয় স্প্রেড। এছাড়া আমানত ও ঋণের ভারিত গড় হারও এসব তথ্য থেকে বের করা হয়। এসব তথ্য আর্থিক নীতি নির্ধারণী কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য ব্যবহারকারীদের প্রতি মাসের ১২ তারিখের মধ্যে স্প্রেডের তথ্য সরবরাহ করতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সংস্থাও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসব তথ্য ব্যবহার করে। ১৫ তারিখের পর ঋণ ও আমানতের সুদহারের তথ্য পেলে তা বিশেষ কাজে লাগে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৮
এসই/এএটি