মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশের লেনদেন ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটলেও মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানের প্রযুক্তিতে মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকি রয়েছে। তবে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারী উভয়কেই সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সেবার মান আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
বুধবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সপ্তম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে-২০১৮ (এবিসি-২০১৮) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিআইবিএম মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
বিআইবিএম মহাপরিচালক ২০১৭ সালে ব্যাংকিং কার্যক্রমের ওপর একটি সামগ্রিক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ক্যাশ এবং পেপারমুক্ত লেনদেনের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক দুটি কোম্পানির মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ব্যবস্থা চালু করে। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বর্তমানে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থানান্তর করা যাচ্ছে। ব্যাংকিং সেবায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)। এজেন্ট ব্যাংকিংও শুরু হয়েছে।
বর্তমানে ১৬ ব্যাংক ও একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান ৭ লাখ এজেন্ট নিয়োগ করেছে। ১৬টি ব্যাংক ও একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান সেবা দিলেও পুরো বাজার দখল করে রেখেছে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান।
ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের মোট মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৫ কোটি ৬০ লাখ। এরমধ্যে নিয়মিত লেনদেন করা হয়ে থাকে ৩ কোটি অ্যাকাউন্টে। নতুন পেমেন্ট সিস্টেমটি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে অত্যন্ত দুর্বল। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি ভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। যা ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি শনাক্ত করে এবং ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ সম্পর্কিত মানি লন্ডারিং ঝুঁকি বুঝতে পারে।
বিআইবিএম মহাপরিচালক বলেন, একই সঙ্গে ঝুঁকির স্তর অনুসারে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে পারে। এজন্য ব্যবহারকারী এবং সেবা প্রদানকারী উভয়ের আরও সচেনতা হওয়া আবশ্যক। আরও উন্নয়ন করা প্রয়োজন পরিশোধ সেবা ব্যবস্থা।
এ সময় তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ৫১টি ব্যাংক ৯ হাজার ৩৫১টি অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) দিয়ে সেবা দিচ্ছে। ৩৫ হাজার ৫০১টি পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিন দিয়ে সেবা প্রদান করছে ৪৮টি ব্যাংক। ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ৬টি ব্যাংক ইন্টারন্টে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এসব সেবা নিচ্ছে ১১ মিলিয়ন ডেবিট কার্ড ও ১ মিলিয়ন ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এসই/এমজেএফ