এতোদিন শুধু ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের বয়স ৬৫ বছর পার হলেই বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা ছিল। যে কারণে অন্যান্য কর্মকর্তা যতোদিন ইচ্ছা ততোদিন চাকরি করেছেন।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর অতিক্রম হলে তিনি ব্যাংকের কোন পদে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োজিত হতে বা অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। তবে পরামর্শক ও উপদেষ্টা পদে ব্যাংক থেকে বিশেষ প্রয়োজনে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বের কোন ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিতে বহাল রাখতে অথবা নিয়োগ দিতে পারবে।
বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদ তাদের ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য অবসর গ্রহণের বয়সসীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বীয় ব্যাংকের অবসর গ্রহণের বয়স সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করবে।
অবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে ব্যাংকগুলোতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ এক বছর বা তদনিন্ম সময়কাল অবশিষ্ট থাকলে তা পূর্ণ করার ক্ষেত্রে এই সার্কুলারের বিধানগুলো কোন বাধা সৃষ্টি করবে না।
ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে নিযুক্ত পদে বহাল থাকার একটি বয়সসীমা নির্ধারণ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এসই/জেডএস