২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ কমার কারণ ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অনেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ঋণের টাকা পরিশোধ করেছেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকের খেলাপি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণের এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসময় পর্যন্ত ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৯ লাখ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি হয়েছে ৯৩ হাজার ৯শ ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ৪৮ হাজার ৬শ ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৬২ হাজার ৫২০ কোটি। খেলাপির পরিমাণ মোট ঋণের ২৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
বছর শেষে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১শ ৩৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। এসময় পর্যন্ত বেসরকারি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। খেলাপির পরিমাণ মোট ঋণের ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ২শ ৮৮ কোটি ৩ লাখ টাকা। এসময় পর্যন্ত বিদেশি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৩৫ হাজার ৩শ ৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। খেলাপি হয়েছে মোট ঋণের ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বছরে শেষে রাষ্ট্রীয় বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭শ ৮৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এসময় পর্যন্ত ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ২৪ হাজার ৬শ ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। খেলাপি হয়েছে মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংকের ১৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংকের ১১ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের ৯ হাজার ৩৪৪ কোটি, অগ্রণী ব্যাকের ৫ হাজার ৯৬৩ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ৪ হাজার ১১৬ কোটি ও বিডিবিএলের ৮৪৮ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়েছে।
বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের ৩ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা, ফারমার্স ব্যাংকের (নতুন নাম পদ্মা) ৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২ হাজার ১৮ কোটি, ইউসিবির ১ হাজার ৯০৪ কোটি, এবি ব্যাংকের ১ হাজার ৬৬৫ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দেড় হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এসই/এএ