সোমবার (০১ মার্চ) শিল্প মন্ত্রণালয়ে ডিসিসিআই-এর নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনে সঙ্গে বৈঠককালে এ দাবি জানান।
বৈঠকে ডিসিসিআই’র সভাপতি ওসামা তাসীর, ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না, হোসেন এ. সিকদার, এনামুল হক পাটোয়ারী, এস.এস. জিল্লুর রহমান, আন্দালিব হাসান, দ্বীন মোহাম্মদ, আশরাফ আহমেদ, নূহের লতিফ খান উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পখাতে পণ্য বহুমুখীকরণ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ প্রদান, এসএমই রপ্তানি উন্নয়ন ডেস্ক স্থাপন, বৃহৎ শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ভিত্তিক এসএমই মডেল অনুসরণ, সরকারি মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, শিল্পসহায়ক অবকাঠামো তৈরি, দক্ষ জনবল সৃষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এ সময় শিল্পখাতের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার, ব্যবসা সহজীকরণ, নিরাপদ কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা, হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনখাতে বিনিয়োগ জোরদারের তাগিদ দেওয়া হয়।
বৈঠকে ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা পৃথক এসএমই ব্যাংক স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এর মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্যের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়বে। বর্তমানে গৃহ বা গাড়ি ঋণ বাবদ এসএমইখাতের অর্থায়নের বিরাট অংশ চলে যাচ্ছে। তারা এর পরিবর্তে শুধুমাত্র উৎপাদনমুখী শিল্প ও সেবাখাতে অর্থায়নের জন্য এসএমই ব্যাংকের ম্যান্ডেট নির্ধারণ করে দেওয়ার সুপারিশ করেন।
ডিসিসিআই নেতারা শিল্পখাতে বিনিয়োগের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে পৃথক অর্থায়ন তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেন। দেশের শিল্পখাতে পণ্য বহুমুখীকরণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে তারা তৈরি পোশাক শিল্পের সাফল্যের দৃষ্টান্ত অনুসরণ এবং উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে আর্থিক প্রণোদনা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের বিকাশে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শিল্পখাতে সুদের ঋণ এক অংকে নির্ধারণের বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
বর্তমান সরকারকে ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব উল্লেখ করে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের যেকোনো সমস্যার সমাধানে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।
পৃথক এসএমই ব্যাংক স্থাপনের প্রস্তাবকে বাস্তবসম্মত বলে মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের এসএমই সেক্টরের উদ্যোক্তারা শক্তিশালী হবে। এর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতি জোরদার হবে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অর্জনের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে।
এছাড়া বর্তমান সরকার চামড়া শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে দু’টি ট্যানারি শিল্পপার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ট্যানারি বর্জ্য থেকে বাই-প্রোডাক্ট তৈরির কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ