রোববার (২১ এপ্রিল) খেলাপি ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশন সংরক্ষণ আর্ন্তজাতিক মান পরিহার করে দেশি মানে করার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, খেলাপি ঋণ নিম্নমানের হবে ছয় মাস পর।
জানা গেছে, ব্যাংকিং খাত অধিকতর সংস্কারের লক্ষ্যে এবং ঋণ শ্রেণিকরণকে অধিকতর কার্যকর করার স্বার্থে ২০১২ সালে ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং নীতিমালা এবং ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ নীতিমালা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০০৯ সালের ১ মে থেকে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আতিউর রহমান। তার আমলে ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ নীতিমালা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই নীতিমালা অনুযায়ী তিন মাসের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণকে নিম্নমান (এসএস), ছয় মাসের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণকে সন্দেহজনক (ডিএফ) এবং নয় মাসের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণকে ক্ষতিজনক বা মন্দ (বিএল) ঋণ হিসেবে নির্ধারণ করা হতো।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ২০১২ সালের আগের নিয়ম বহাল করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ছয় মাসের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণকে নিম্নমান (এসএস), নয় মাসের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণকে সন্দেহজনক (ডিএফ) এবং ১২ মাসের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণকে ক্ষতিজনক বা মন্দ (বিএল) ঋণ হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে।
এর আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদে খেলাপি ঋণ হালনাগাদ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। খেলাপি ঋণ পরিশোধের সহজলভ্যতার পাশাপাশি গ্রাহকদের ঋণখেলাপি বানাতেও সময় বেশি লাগবে আগের চেয়ে তিন মাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৯
এসই/টিএ