ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

এক গ্রাহককে একাধিক ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এক গ্রাহককে একাধিক ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে কর্মশালায় অতিথিরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ২০১৭ এর তুলনায় ২০১৮ সালে একক গ্রাহককে একাধিক ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার প্রবণতা প্রায় চার শতাংশ বেড়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংকিং কার্যক্রম নগর কেন্দ্রীক, যা এ খাতে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসে ‘ক্রেডিট অপারেশন্স অব ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক আব্দুর রহিম।

তিনি ব্যাংকারদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সর্তক থাকার ওপর জোরারোপ করেন।

ঋণ বিষয়ক এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা। আয়োজনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে ঢাকার বিআইবিএমে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অধ্যাপক ড. শাহ আহসান হাবীব।

কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশাসন ও হিসাব এবং গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ)  ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী।

গবেষণা দলে ছিলেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা, বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র পণ্ডিত, বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক ড. মোশাররেফ হোসেন এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৩২টি ব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনা, সার্কুলার ইত্যাদি সেকেন্ডারি তথ্যের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।

বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, গ্রামের মানুষ ঋণ কম পাচ্ছে। এতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কম হচ্ছে। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে নীতি নির্ধারকদের চিন্তা করতে হবে। কীভাবে সবাইকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা যায়।

কর্মশালায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএ চৌধুরী, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এসই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।