ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

ব্যাংকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
ব্যাংকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু ব্যাংকে গ্রাহকদের ভিড়। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দুই মাসের বেশি সময় পর দেশের ব্যাংকখাতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সব শাখা খুলেছে। তবে করোনা ভাইরাসের ঝূঁকিপূর্ণ এলাকায় লেনদেন সীমিতই রাখার নির্দেশনা রয়েছে।

রোববার (৩১ মে) থেকে ব্যাংকের সবগুলো শাখায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

লেনদেন শুরু হয়েছে সকাল ১০টা থেকে, চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় পর থেকে ব্যাংকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি শুরুর পর সীমিত আকারে লেনদেন চলে ব্যাংকে। ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাংকের অধিকাংশ শাখা বন্ধ রাখা হয়েছিল। প্রথম দিকে লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিমানবন্দর, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাণিজিক্য এলাকায় ২৪ ঘণ্টাই ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর ব্যাংক খোলার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের উপস্থিতিও মোটামুটি লক্ষ্য করা গেছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিস কর্পোরেট শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, নিয়মনীতি ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই লেনদেনের জন্য অপেক্ষা করছেন গ্রাহকরা। কাউন্টারে যাওয়ার আগে অপেক্ষার জন্য যেসব বক্স তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কোনো কোনো গ্রাহক না দাঁড়িয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো দূরত্বে অবস্থান করছেন। ব্যাংকে গ্রাহকদের ভিড়।  ছবি: শাকিল আহমেদরূপালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের কর্পোরেট শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর আগেই আমরা গ্রাহকদের নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে দাঁড়ানোর জন্য বক্স তৈরি করে দিয়েছি। শাখায় প্রবেশের সময় শরীরে তাপমাত্র পরিমাপের পাশাপাশি, জীবাণুমক্ত করার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছি। সবার সচেতনতায় আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারবো বলে আশা করি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারী শেষে দেশে কার্যরত ৫৯টি ব্যাংকের ১০ হাজার ৫৮৩টি শাখা রয়েছে। এরমধ্যে শহরে ৫ হাজার ৫৫৯টি এবং গ্রামে ৫ হাজার ২৪টি শাখা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এসই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।