ঢাকা: ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ব্যাংকে লেনদেন ও অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হলেও ঈদের আমেজ কাটেনি। একটানা পাঁচ দিনের ছুটির পর ব্যাংক পাড়ায় জনসাধারণ ও গ্রাহকদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি।
রোববার (২৫ জুলাই) রাজধানীর গুলশান ও মতিঝিলে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও অন্যান্য শাখা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রাহক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতি অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম।
দেশে কার্যরত সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকেও উপস্থিতি ছিল কম।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ ব্যাংকিংয়ের জন্য গ্রাহকদের তেমন কোনো ভিড় নেই। একই চিত্র দেখা গেছে, গুলশানে ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও সিটি ব্যাংকের শাখায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবছর কোরবানির ঈদের পরে ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতি কম থাকে। তারপর চলছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধি-নিষেধ। সবকিছু মিলিয়ে ব্যাংকে গ্রাহকের বাড়তি চাপ নেই। আসার সঙ্গে সঙ্গে সেবা পাচ্ছেন।
ব্যাংক এশিয়ার বসুন্ধরা শাখার অপারেশন ম্যানেজার এ কে এম শাহিদুল হক বলেন, ঈদের পরে প্রথম কার্যদিবসে গ্রাহকের উপস্থিতি কমই থাকে। কিছু গ্রাহক আসছেন। সেবা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কাউকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। কোরবানির ঈদের পরে সাধারণভাবেই এমনটা হয়। এবার সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘লকডাউন’। যে কারণে পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকার পরেও গ্রাহকের ভিড় ছিল না।
মতিঝিলে অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলোতেও গ্রাহককে লেনদেন করতে দেখা গেছে। বেসরকারি দু-একটি ব্যাংকে আমদানি-রপ্তানি এলসি খোলা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন। আসার পরে হয়তো জমজমাট হবে ব্যাংক পাড়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
এসই/আরবি