ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৪ জুলাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৬
জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৪ জুলাই

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আগামী ১৪ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত। অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন ফের পিছিয়ে আগামী ১১ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) মামলা দু'টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতে এ মামলা স্থগিতে তার লিভ টু আপিলের শুনানি চলমান ও অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে আদালতে হাজির হননি খালেদা। তার আইনজীবীরা আত্মপক্ষ সমর্থন পেছাতে সময়ের আবেদন জানালে তা মঞ্জুর করে সপ্তমবারের মতো পিছিয়ে আগামী ১১ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ করেন আদালত।     

এরপর অরফানেজ মামলার দুই সাক্ষী প্রাইম ব্যাংকের কর্মকর্তা আফজাল হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক মাজেদ আলীকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষ। আগামী ১৪ জুলাই অন্য দুই সাক্ষী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলফা সানি ও মোখলেছুর রহমানকে জেরা ও পরবর্তী সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

এ পর্যন্ত মামলাটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১১ জন সাক্ষী।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জামিনে থাকা জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

এ মামলায় জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। মামলাটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদসহ মোট ৩২ জন সাক্ষী।

অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন। তারা আদালতে হাজির হন এবং তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা দাখিল করেন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৬
এমআই/এএসআর

** চ্যারিটেবলে আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে ১১ আগস্ট, অরফানেজে জেরা চলছে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।