ঢাকা: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রানজিট মাশুলের কড়া সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ছি ছি লজ্জা, মাত্র ১৯২ টাকা। এ টাকা না নিলে কী হয়?
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাজধানীর হোটেল সারিনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সমালোচনা করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, যমুনা ব্রিজের ওপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে গেলে ৫শ’, ৮শ’ করে টাকা দিতে হয়। দাউদকান্দি ব্রিজেও বাস-ট্রাকের জন্য ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা দিতে হয়। আর ভারত আমার দেশের ওপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাবে, সে জন্য মাত্র ১৯২ টাকা!
তিনি বলেন, আমি না হয় নাই করলাম। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধরা প্রতিবাদ করছে না কেন? আমরা পাকিস্তানের হাত থেকে দেশ উদ্ধার করেছি, আরেকটি দেশের গোলামী করার জন্য নয়।
ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমরা দয়া চাই না। পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। কিন্তু আমাদের সেটা দেওয়া হচ্ছে না।
বিডিআর (বিজিবি) বাঘ থেকে বেড়ালে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষমতায় আসার এক মাসের মাথায় পিলখানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে বিডিআরের ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে এ সকরার। বাকী কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। ফলে আমাদের বিডিআর বাঘ থেকে বেড়ালে পরিণত হয়েছে। তাদের হাতে বন্দুক থাকলেও গুলি ফোটাতে পারে না। কিন্তু দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ফোটাতে বললে আবার ঠিকই পারে।
পুলিশ, র্যাব দিয়ে সরকার মানুষ হত্যা করছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, দেশটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তারা যা খুশি তাই করছে। নিজের আত্মীয়-স্বজনকেও মেরে ফেলছে পুলিশ।
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নেই অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, আমি কথা বলতে ভয় পাই না। কথা বলছি, আরো বলব। প্রয়োজন হলে এখনো রাস্তায় নামতে রাজি আছি। তার আগে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই মঞ্চে ইফতার করেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) আইন উদ্দিন, ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ।
এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শাহ. মোহম্মদ আবু জাফর ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৬
এজেড/এসএইচ