ঢাকা: কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আজিমুদ্দিন হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় হাত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের পথে এগিয়ে গেলে দেশ থেকে সন্ত্রাসী উগ্রবাদীদের অপতৎপরতা নির্মূল করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘গুলশানের সন্ত্রাসী হামলার সপ্তাহ পার না হতেই আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে কিশোরগঞ্জে এ ঘটনা ঘটলো এবং কয়েকজন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ’
‘সরকারের পক্ষ থেকে বারবার কঠোর নিরাপত্তার কথা বলা হলেও বিদ্যমান সকল নিরাপত্তাকে ভেদ করে উগ্রপন্থিরা একের পর এক তাদের বেপরোয়া জীবন বিনাশি সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে-এই উগ্রপন্থি অশুভ শক্তি সারাদেশকে তাদের অভয়ারণ্য মনে করছে। এ ধরনের ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ’
তিনি বলেন, সরকার শত চেষ্টা করেও ব্যর্থতা ঢাকা দিতে পারছে না। শুরু থেকেই যথার্থ পদক্ষেপের মাধ্যমে এই কুপথগামী অন্ধশক্তির তৎপরতা রুখে দিতে পারলে এখন এতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারতো না।
‘এখনও সকলে মিলে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের পথে এগিয়ে গেলে দেশ থেকে সন্ত্রাসী উগ্রবাদীদের অপতৎপরতা নির্মূল করা সম্ভব,’ বলেন বিএনপি প্রধান।
তিনি বলেন, মানবতার শত্রু এই বর্বর অপশক্তিকে নির্মূল করতে বিভেদ-বিভাজনের পথ থেকে সরে এসে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। মত ও পথের ভিন্নতা থাকবে তথাপিও জাতির এই সংকটকালে জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
কিশোরগঞ্জে হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে খালেদা জিয়া বলেন, এ ঘটনায় আমি গভীরভাবে বেদনার্ত ও শোকার্ত। আমি নিহত পুলিশ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও নিহত নারীর আত্মার শান্তি কামনা করছি। আমি নিহতদের পরিবার ও নিকটজনদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
কিশোরগঞ্জের পৈশাচিক সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানান তিনি।
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৬
এমএ/