ঢাকা: জঙ্গিদের জীবিত ধরা হচ্ছে না কেন তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
জন্মাষ্টামী উপলক্ষে শনিবার (২৭ আগস্ট) গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, জঙ্গিবাদের শিকড় নির্মূল ও তথ্য উদঘাটনের জন্য জঙ্গিদের জীবিত ধরা উচিত ছিল। জীবিত ধরতে পারলে তাদের কাছ থেকে তথ্য উদঘাটন করে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা যেতে। কিন্তু জীবিত না ধরে হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাভাই ও শায়েখ আব্দুর রহমানকে ধরতে আমাদের অনেক সময় লেগেছিল, কষ্ট হয়েছিল। তারপরও আমরা তাদের জীবিত ধরে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এভাবে নির্মূল হয়েছিল জঙ্গিবাদ। কিন্তু এই সরকার কাউকে জীবিত ধরছে না, হত্যা করছে।
নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য এবং ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার জঙ্গিবাদ ইস্যু সামনে নিয়ে আসছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, ব্যাংক ডাকাতি, ব্যাংক লুট, দুর্নীতি, অত্যাচার, নিপীড়ন, নিযার্তনসহ তাদের যে অপকর্মগুলো পত্রিকা ও টেলিভিশনে আসছে সেগুলো ঢাকার জন্য শুরু হয়েছে জঙ্গিবাদ।
তিনি বলেন, এই যে কিছু দিন আগে হলি আর্টিজানে হামলা হলো, এটার কোনো তদন্ত হচ্ছে না। বিষয়টি এখনো জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়। এর ক’দিন পরেই কল্যাণপুরে আরেকটি ঘটনা ঘটলো। সেখানে কিছু ইয়াং ছেলেকে পেছন থেকে গুলি করে মারা হয়েছে। তাদের বেশ-ভূষা দেখেই বোঝা যায়, এটা সাজানো ছিল।
খালেদা জিয়া বলেন, তারা যদি জঙ্গিই হবে, তাহেল জীবিত ধরা হচ্ছে না কেন। সত্যিকারে জঙ্গি ধরলে তো তাদের কাছ থেকে আসল তথ্য বেরিয়ে আসতো।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, আমি যে বক্তব্য দিয়েছি তা তথ্যবহুল। উনি প্রমাণ করুক আমি কোন কথাটা ভুল বলেছি।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্তকে আবারও রাষ্ট্রবিরোধী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আজ হয়তো ক্ষমতায় থাকার কারণে তারা (আওয়ামী লীগ) কারো কাছে জবাবদিহি করার প্রয়োজনীয়তা মনে করছে না। কিন্তু যে দিন তারা ক্ষমতা হারাবে সেদিন এই রামপালের জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখী হতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, চেয়ারপারসানের উপদেষ্টা সঞ্জিব চৌধুরী, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ড।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক শ’ নেতা-কর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
এজেড/এএ