ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। তবে সারা দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের নির্বাচন বর্জন করবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাত ৯টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৈঠকের মাঝখানে বাইরে এসে এসব সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠকে জন্মদিন পালনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী ২১ নভেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির প্রস্তাব ও সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও এ বৈঠকে আলোচনা চলছে’।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটির নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না, প্রহসনের নির্বাচনই হবে না। তারপরও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতেই আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
তিনি বলেন, ‘আর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। এটি সরাসরি নির্বাচন হচ্ছে না, ইলেক্ট্রোরাল পদ্ধতির মতো হচ্ছে। জনগণ এখানে সরাসরি অংশ নিতে পারছে না। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দেবেন। তাই আগে থেকেই তৈরি হয়ে থাকা ফলাফলের এ প্রহসনের নির্বাচন আমরা বর্জন করছি’।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এ নির্দেশে প্রমাণ হয়েছে, বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ নেই, সরকারের অধীনে চলে গেছে। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। সে কারণেই এই গ্রেফতারি পরোয়ানা’।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
এজেড/এএসআর