ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

‘নীল নকশার নির্বাচনের জন্যই খালেদার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান’ ‍

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
‘নীল নকশার নির্বাচনের জন্যই খালেদার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান’ ‍ ছবি: কাশেম হারুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নীল নকশার নির্বাচন করার জন্যই খালেদা জিয়ার প্রস্তাব সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা: নীল নকশার নির্বাচন করার জন্যই খালেদা জিয়ার প্রস্তাব সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
 
শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কচি-কাঁচা ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।


 
‘০৭ নভেম্বর’ এবং ‘জিয়া আমার চেতনা’ শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে জিয়া নাগরিক ফোরামের (জিনাফ) উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দেশনেত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই আমাকে জানানো হলো- আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে, প্রত্যাখ্যান করেছে। ’
‘আমি বললাম-এটাই স্বাভাবিক। আমরা যাই বলি না কেন, তারা (আওয়ামী লীগ) তা প্রত্যাখ্যান করবে। তারা তাদের নীল নকশা নিয়েই এগিয়ে যাবে। ’
 
‘অর্থাৎ কোনো রকম গণতান্ত্রিক পরিসর সৃষ্টি না করে, স্পেস না দিয়ে, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। কারণ, তারা জানে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না,’ বলেন তিনি।
 
‘আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া আগেই তৈরি করা ছিলো’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা যে স্পিচটা দিয়েছে, সেটির ভাষা দেখলে বোঝা যায়, আগে থেকেই তৈরি ছিলো। যেমন বাজেট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিছিল বের হয়, মানি না, মানবো না। গণবিরোধী বাজেট মানবো না। সব বিরোধীদলই এটা করে। ব্যানার আগেই তৈরি করা থাকে। ’

‘ঠিক তেমনিভাবে খালেদা জিয়ার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়াও তারা আগেই তৈরি করে রেখেছিলো। ’
 
‘খালেদা জিয়ার প্রস্তাবকে বাংলাদেশের রক্ষাকবচ’ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই প্রস্তাবের মধ্যে বাংলাদেশকে রক্ষা করার, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দেওয়ার, অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার এবং গণতান্ত্রিক ধারায় বাংলাদেশকে নিয়ে আসার সব উপাদান রয়েছে। ’
 
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী তো এই কথা বলেননি, প্রস্তাবের পুরোটা অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে। যদি আপনারা সত্যিকারে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চান, এই প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে বিরোধীদলসহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেন। তা না হলে প্রমাণ হবে, আপনারা এলে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চান। ’
 
আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনগণ জানে আওয়ামী লীগের অতীত কী? তারা কীভাবে বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আমাদের সমস্ত সম্ভাবনাকে কীভাবে বিনষ্ট করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ’  
 
‘সুতরাং খালেদা জিয়ার দেওয়া এ প্রস্তাব জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। কারণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের কোনো বিকল্প নেই,’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।  
 
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহম্মদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভায় কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবু নাছের মুহম্মদ রহমত উল্লাহ, জিনাফের সাধারণ সম্পাদক কে এ জামান, এনডিপির নেতা মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬/আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা
এজেড/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad