মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে এ চার্জ গঠন করা হয়। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার নিজেই শুনানিতে অংশ নেন।
তিনি জানান, তিনিসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজুসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
তৈমূর বলেন, এ মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয় না। নেতাকর্মীদের হেয় করার জন্য এবং ছোট করতেই এ ধরনের মামলায় নেতাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
এটিএম কামাল বলেন, হয়রানি করার জন্যই এটি করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ৫ মে রাতে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে ফিরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়, মাদানীনগর, সাইনবোর্ড, শিমরাইলের মুক্তি স্মরণী এবং সোনারগাঁয়ের কাচপুর এলাকায় আসা হেফাজত নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাবাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুজন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও দুজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জনের প্রাণহানির ঘটে। ওই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সাখাওয়াত বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তৈমূর আলম খন্দকার ও সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় অনেককে। পরে পুলিশ ৩৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশ বক্সের হামলা, পুলিশের ওপর হামলা, পিকাপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
জিপি