রোববার (৫ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ তোলেন।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতে যে ঋণজালিয়াতির ঘটনা এসব ব্যাংকে ঘটেছে তা রীতিমত আঁতকে ওঠার মতো।
তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য ও দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে লুটপাটের মহোৎসব চলছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সব বানিজ্যিক ব্যাংক তথা-সোনালী, রুপালি, অগ্রণী, জনতা, বেসিক ব্যাংকের পর কৃষি ব্যাংকে ব্যাপক লুটপাট ও প্রমাণিত ঋণজালিয়াতির খবর প্রকাশিত হচ্ছে। সর্বশেষ এনআরবি কর্মাশিয়াল, ফারমার্স ব্যাংকের দুর্নীতি ও ঋণ জালিয়াতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আঁতকে উঠছেন গ্রাহকরা।
রিজভী বলেন, এর আগে আওয়ামী স্টাইলে ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয়ায় বিদেশি মালিকরা তাদের পুঁজি সরিয়ে নিচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। একই কায়দায় দখল করা হয়েছে সোশাল ইনভেস্টম্যান ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল)। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা লুপাটের তদন্ত প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করেননি অর্থমন্ত্রী।
এ সময় ‘শুধু ব্যাংকিং সেক্টর নয়, বিমা খাতসহ সমস্ত আর্থিকখাতেও ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
জেডএম/