ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিএনপি

বিএনপি’র জনসমর্থন দেখে সরকার দিশেহারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
বিএনপি’র জনসমর্থন দেখে সরকার দিশেহারা জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন- ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি’র জনসমর্থন দেখে বর্তমান সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার বড় গলায় ঘোষণা করেছিলো, রাজনীতিতে বিএনপি’র অস্থিত্ব নেই। কিন্তু তারা দেখেছে, খালেদা জিয়া দেশে আসার পর রাস্তায় গণ-জোয়ার সৃষ্টি। কক্সবাজার যাওয়ার পথে জনসাধারণ স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিলো। ১২ নভেম্বরের সমাবেশে আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ, রাজধানীতে সব ধরনের গণ-পরিবহন বন্ধ করার পরও জনস্রোত থামিয়ে রাখতে পাড়েনি। বিএনপির প্রতি মানুষের সমর্থণের এ জোয়ারে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিলো। তবে ২০১৪ আর একাদশ নির্বাচন এক নয়। নদীর পানি অনেক গড়িয়েছে। খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া যাবে না। আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। যতো ষড়যন্ত্র করা হোক, এ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি অংশ নিবেই।  

সরকার যদি ২০১৪-এর মতো নির্বাচন করার চেষ্টা করে, গায়ের জোড়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়, জনগণ তাহলে রাস্তায় নেমে তাদের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার উদ্ধার করবে।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে খালেদা জিয়া, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। কেননা, যারা এ দেশের ভালো চায় না, সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করতে চায়; তারাই খালেদা জিয়াকে সহ্য করতে পারছে না, তারেক রহমানকে সহ্য করতে পারছে না।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার অনেকবার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেছে।  ১/১১-তে একবার তারেক রহমানকে জেলে ঢুকিয়ে রিমান্ডে নিয়ে তার মেরুদণ্ড ভেঙে এবং খালেদা জিয়াকে জেলে দিয়ে বিএনপিকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। এরেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ও তার মন্ত্রীরা খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিয়ে, তারেককে দেশে না আসতে দিয়ে, বিএনপিকে রাজনীতি শুন্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন, বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাম্মী আকতার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের সভাপতি রাজিয়া আলিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এমসি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।