ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

ফখরুলও থামাতে পারলেন না হট্টগোল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
ফখরুলও থামাতে পারলেন না হট্টগোল

ঢাকা: বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে রাজপথে তেমন তৎপরতা দেখা না গেলেও অভ্যন্তরীণ সভা-সমাবেশে বিশৃঙ্খলা-হট্টগোল করেই যাচ্ছেন দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

সবশেষ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক আলোচনা সভায় এমন হট্টগোল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। খোদ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে থামাতে পারেননি তাদের।

একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের এহেন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারাও।  

সভায় অবস্থান করে দেখা গেছে, আলোচনা সভার শুরু থেকেই বিভিন্ন নেতার নাম ধরে স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী স্লোগান দিতে তাদের নিষেধ করেন।  

এ সময় তিনি বলেন, শহীদ দিবসের আলোচনা সভায় কোনো স্লোগান হবে না। আপনারা কেউ স্লোগান দেবেন না।  

এরপর মঞ্চে বক্তব্য দিতে ওঠেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিতে শুরু করলেই ফের স্লোগান দিতে শুরু করেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।  

এ সময় তারা বলতে থাকেন ‘ঢাকা কলেজ, ছাত্রদল’ ইত্যাদি। বিরক্ত হয়ে নজরুল ইসলাম খান তার বক্তব্য থামিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকেন।  

এরপর এ্যানী বলেন, ‘তোমরা থামো। নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্য শেষে তোমাদের নাম ঘোষণা করা হবে। ’ 

এরপরও তারা না থামলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল সভাপতির আসন ছেড়ে মাইক্রো ফোন হাতে দলের ছাত্রদল নেতাকর্মীদের থামতে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন।  

এসময় তিনি বলেন, ‘বক্তব্য শেষ হলে তোমাদের ইউনিটের নাম বলা হবে। ’ তবে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের তেমন একটা কান দিতে দেখা গেলো না। আর এ ধরনের হট্টগোলের মধ্য দিয়েই নজরুল ইসলাম খান তার বক্তব্য শেষ করেন।  

এরপর দলের প্রচার সম্পাদক ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ও এর কয়েকজন সদস্যের নাম ঘোষণা করেন মাইকে। এ্যানী বলেন, দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নাম বলা হবে।  

এরপরও ছাত্রদলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কেউ নাম থামলে এক পর্যায়ে চেয়ার ছেড়ে উত্তেজিত অবস্থায় মির্জা আব্বাসকে বলতে শোনা যায়, ‘কারো নাম বলা হবে না, কোনো নাম বলা হবে না। ’  

এরপর এ্যানী ঘোষণা দেন, ‘নাম বললে সবার নাম-ই বলতে হয়, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী প্রোগ্রামগুলোতে কারো নাম বলা হবে না। ’ 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দলটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
এএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।