ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘খালেদার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সরকারকে জবাব দিতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
‘খালেদার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সরকারকে জবাব দিতে হবে’ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ দাবি করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, যদি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, তবে তার জবাব এই সরকারকেই দিতে হবে।

শনিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ঘাট শ্রমিক ফেডারেশন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়া সরকারের হেফাজতে আছেন, সরকারের দায়িত্ব তার নিরাপত্তা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তার যেন কোনো ক্ষতি না হয় এটা নিশ্চিত করা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দোষী সাব্যস্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি প্রধান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গতকাল (শুক্রবার, ২০ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের (ওবায়দুল কাদের) কাছে থেকে শুনেছি, বাঁচা-মরা আল্লাহর হাতে। নিশ্চয়ই বাঁচা-মরা আল্লাহর হাতে। ওবায়দুল কাদের সাহেব বায়তুল মোকাররমের ইমাম নন, তিনি মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি। তিনি যখন এ কথা বলেন, তখন আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হই। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন, নেত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে বারবার বলার পরও জেল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যদি তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, তাহলে তার জবাব এই সরকারকেই দিতে হবে।

খালেদা জিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছি। আজকে এখানে আমাদের একজন বলেছেন, এতে কিছু হবে না, সরকার কিছু করবে না। এই সরকার কিসে কী করবে এটা তো সময়ের ব্যাপার। আপনাদের মনে আছে? এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ৬ তারিখের আগে সম্ভবত ৪ তারিখে এরশাদের মন্ত্রীরা বলেছিলেন, কোথায় পদত্যাগ করবো? জিরো পয়েন্টে? তার একদিনের মধ্যেই কিন্তু তারা পদত্যাগ করেছে। কাজেই সরকার যাই বলুক, পায়ের নিচে তাদের মাটি নেই। সাধারণ মানুষ তাদের পছন্দ করে না।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুমন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, সহ-সভাপতি মেহেদী আলী খান, যুগ্ম-সম্পাদক মোস্তাফিজুর করিম মজুমদার, যুবদল দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।