ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

নয়াপল্টনে সহিংসতায় ছাত্রলীগকে দুষলেন ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
নয়াপল্টনে সহিংসতায় ছাত্রলীগকে দুষলেন ফখরুল

ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যোগসাজশে সরকার পুলিশকে দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির অফিসের সামনে আগত দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’ আর পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকেই দোষারোপ করেছেন তিনি।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফখরুল এ দোষারোপ করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পুরোপুরি বিনা উসকানিতে মিছিলের মধ্যে ঢুকে পুলিশ হামলা করেছে।

একইসঙ্গে শিশুদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলন বানচালকারী ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী এসে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং সেখানে আগুন দিয়েছে। ’ 

‘আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মীর হেলমেট পরে আসার কথা নয়। আমাদের নেতাকর্মীরা দু’দিন যাবত উৎসাহ-উদ্দীপনার মাঝে ফরম নিতে এসেছেন। যেটা ছিল পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়ে আবার আগের মতো আমাদের সারাদেশের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছিলাম, সেটা যদি আমরা করতে না পারি এবং নির্বাচনে থাকতে না পারি, তাহলে সেজন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকার দায়ী থাকবে। ’

দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশের সঙ্গে। তারা পুলিশের দু’টি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয়। নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। পরে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন,যান চলাচল যেন স্বাভাবিক থাকে সেজন্য বিএনপি কর্মীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা করে।

ফখরুল অভিযোগ করেন, রাতে যারা বিএনপি অফিস থেকে বেরিয়েছে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুজ্জামান, খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খানসহ ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা।

বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। পাশাপাশি তিনি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।  
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।