ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

সরকার দেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করতে চায়: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৯
সরকার দেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করতে চায়: ফখরুল

ঢাকা: সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেজন্য তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে। একটিমাত্র উদ্দেশ্য তারা এই দেশকে একটা করদ রাজ্যে পরিণত করতে চায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ‘তরিকুল ইসলাম: জীবন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর আমাদের তরিকুল ইসলাম ভাই মারা গেছেন।

ঠিক এক বছর পরে একই দিনে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এ চলে যাওয়া যদি সুষ্ঠু-স্বাভাবিক হতো আমাদের কিছু বলার ছিল না। আমাদের নেতা তরিকুল ইসলাম তার দীর্ঘ বছরের রাজনৈতিক জীবনে সরকারের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। প্রথমে পাকিস্তান সরকার, তারপর আওয়ামী বাকশালী সরকারের হাতে তারপরে স্বৈরাচার এরশাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। সবশেষে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একটার পর একটা মিথ্যা মামলায় তাকে একবার যশোর একবার ঢাকা দৌঁড়াতে হয়েছে। এভাবে তিনি আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছেন। একইভাবে আমাদের অনেক স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতা চলে গেছেন। এখন সমগ্র দেশে যে অত্যাচার দমন-পীড়ন, নির্যাতন চলছে অনেক সময় মনে হয় তা পাকিস্তানের নির্যাতনকেও ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, বাংলাদেশে যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। তারা বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার লুট, টাকা পাচার, একলাখ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হয়েছে। যেটা দিয়ে পাঁচটা পদ্মাসেতু নির্মাণ করা যেত।

ফখরুল বলেন, এখন বিচার, প্রশাসন ও গণমাধ্যম সব ধ্বংস করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া সংগ্রাম করছেন বলেই তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আসুন সে লক্ষ্যে আমরা আত্মত্যাগ করি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।

সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব, যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও তরিকুল ইসলামের স্ত্রী অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম। সভা পরিচালনা করেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।