ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

খালেদার মুক্তি দাবিতে বিএনপির সমাবেশ রোববার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
খালেদার মুক্তি দাবিতে বিএনপির সমাবেশ রোববার

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রোববার (২৪ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অথবা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ২টায় সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে আবেদন করেছি- ওই দুইটি স্থানের মধ্যে যেকোনো একটিতে সমাবেশ হবে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আজকে একটি দলের বিশেষ কর্মসূচি থাকায় প্রশাসন আমাদের অনুরোধ করেছে। সেজন্য আমরা শনিবারের পরিবর্তে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিটি রোববার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা দিনের পর দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। অথচ তার জামিন কিংবা সুচিকিৎসার ব্যাপারে প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকারের নিষ্ঠুরতা থামছেই না।  

‘সরকারের আচরণে জনগণের মনে এখন একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে যে, দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নের পথে সরকারপ্রধান দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন কি না। ’ যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি নিয়ে একটা সুরাহা করে আসবেন। শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ কেবলমাত্র শাড়ি আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য দূরে থাক, কোনো হিস্যাই পাওয়া যায়নি।

‘সরকার দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, কিন্তু বিএনপির মুখ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই’, ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের নিজের অজান্তেই স্বীকার করে নিলেন যে, আইন-আদালত, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকারও নিয়ন্ত্রণ করেছেন তারা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিতে সক্ষম হয়েছেন। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করতে সক্ষম হয়েছেন।  তার বক্তব্যে একচেটিয়া স্বৈরশাসকদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি ফুটে উঠেছে।

‘মানুষ প্লেনে চড়তে পারে না, আর আমি বিদেশ থেকে প্লেনে পেঁয়াজ নিয়ে এসেছি’ বাণিজ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, অবৈধ সরকারের গবুচন্দ্র মন্ত্রীদের মুখে এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যই শোভা পায়। জনশ্রুতি আছে- ব্যবসায়ী, মন্ত্রীদের নেতৃত্বেই নাকি বাজার সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা লোপাট চলছে।  

‘পেঁয়াজের যখন ভয়াবহ সংকট চলছে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার যখন নিয়ন্ত্রণহীন, তখন এই মন্ত্রীর দেখা মেলে না। অথচ হঠাৎ হাজির হয়ে তিনি উদ্ভট মন্তব্য করলেন। তার এ ধরনের বক্তব্য জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া কিছু নয়,’ যোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।