ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপি

দিল্লির সঙ্গে সরকারের শীতল সম্পর্ক চলছে: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
দিল্লির সঙ্গে সরকারের শীতল সম্পর্ক চলছে: রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলীয় নেতারা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কলকাতার পত্র-পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে দিল্লির শীতল সম্পর্ক চলছে। এছাড়া নানা টানাপোড়েন চলছে বলে কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। বিশ্বস্ত প্রতিবেশী দেশের সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের সম্ভবত কোনো কারণে অম্লমধুর বিরহ পর্ব চলছে। এতে প্রতিবেশীর আস্থাভাজন রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় থাকা এই অবৈধ সরকারের মাথা বিগড়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা মুরুব্বিদের তুষ্ট করে শীতল সম্পর্ক উষ্ণ করতে আবোল-তাবোল প্রলাপ বকা শুরু করেছে।

নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকত্ব তালিকা (এনআরসি) জটিলতায় সংখ্যালঘু ভারতীয় মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন ঘোষণার জেরে গোটা ভারত যখন বিক্ষোভে উত্তাল, তখন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ন্যক্কারজনকভাবে সমর্থন দিচ্ছে।

তিনি বলেন, গণমানুষের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে আজ ৬৮৫ দিন ধরে বন্দি করে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ হলেও সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার সুচিকিৎসা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানালেও তা শুনছে না প্রধানমন্ত্রী। আমরা চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় আছি। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শামীম ও ডা. মামুনকে এখন আর দেখা করতে দেওয়া হয় না। আমরা অবিলম্বে ডা. শামীম ও ডা. মামুনকে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, ২০০১ সাল কেনো, বিএনপির কোনো শাসন আমলেই দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আবহমানকাল ধরে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের সময় বরাবরই বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন ছিল।

তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে দলের আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম দেওয়া হবে ২৬ ডিসেম্বর। ২৭ ডিসেম্বর ফরম জমা নেওয়া হবে। ২৭ ডিসেম্বরও ফরম নিতে পারবেন। তবে ওইদিনই বিকেল ৪টার মধ্যে ফরম জমা দিতে হবে। ফরম উত্তোলনের সময় ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। আর জমা দেওয়ার সময় এক লাখ টাকা দিতে হবে। এরপর ২৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এমএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।