ঢাকা: আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
উন্নয়ন অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা- শিরোনামে প্রস্তাবিত এ বাজেট আগামী ২৬ জুন সংসদে পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে নিরন্তর সামনে এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশ এখন অন্যান্য দেশের জন্য উন্নয়নের গ্লোবাল রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে জিডিপির আকার ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে। প্রাক্কলন করা হয়েছে যে, ২০৪১ সালের পূর্বেই বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও দায়বদ্ধতা এবং দেশবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থনের উদ্ভাসিত আলোয়, ২০৪১ সালের মাঝে সম্পূর্ণ ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত জ্ঞানভিত্তিক উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হওয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার অন্তর-মন-প্রোথিত সোনার বাংলা- পূরণের সুবর্ণরেখাটি স্পর্শ করবে বাংলাদেশ এবং নিরন্তর এগিয়ে যাবে সুমহান উচ্চতার সর্বোচ্চ শিখরে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের দৈব দুর্বিপাকে ভয়হীন, ঘুরে দাঁড়াবার ঐকান্তিক প্রায় বলীয়ান, প্রত্যয়ী আর সৃজনশীল জনসাধারণই বাংলাদেশের অন্তহীন প্রেরণার উৎস। যাদের বিন্দু বিন্দু ঘামের বিনিময়ে, চেষ্টায়, ত্যাগ-তিতিক্ষায় এ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে সেই কৃষক, শ্রমিক, মঞ্জুর, ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক, টেকনিশিয়ান, ড্রাইভার, মিস্ত্রি, কামার, কুমার, জেলে, বেলে, মুচি, ঋষি, ধোপা, তাঁতি, কাসারু, শাখারি, স্বর্ণকার, মাঝি, ঘরামি, কাহার, করাতি পাতিয়ালসহ সব শ্রেণি-পেশা ও নৃ-গোষ্ঠীর মানুষই বাংলাদেশের সম্পদ ও প্রাণশক্তি। সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় শূন্য থেকে ধীরে ধীরে মহীরুহে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সব মানুষের আশা-প্রত্যাশা ও উন্নয়ন ভাবনা প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যয়ে সাজানো হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট।
তিনি বলেন, এ সময় রাজস্ব সংগ্রহে নতুন নতুন খাতের প্রতি মনোনিবেশ করা হবে। যাতে পর্যাপ্ত সম্পদের যোগান নিশ্চিত করা যায়। বাজেট ঘাটতি নির্বাহে ধীরে ধীরে বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রণোদনা যৌক্তিক করা হবে যাতে যথাযথ সম্পদ সঞ্চালন হয়। কৃষি আধুনিকীকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন, সমসাময়িক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিক্রমাকে প্রাধিকার নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের জনগণের জন্য নতুন নতুন আশা সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় করা হয়েছে। আশা করা যায়, এ বাজেট বাস্তবায়নে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী ও বেগবান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এসকে/আরএইচ