ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা অর্থমন্ত্রীর

বাজেট রিপোর্টিং টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৪
কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা অর্থমন্ত্রীর

ঢাকা: দেশের কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, তার বাজেট প্রণয়নে কৃষকদের দেওয়া পরামর্শের প্রতিফলন ঘটেছে। জাতীয় সংসদে দেশের ৪৩তম জাতীয় বাজেট পেশ করতে গিয়ে ধন্যবাদ পর্বে তিনি এ কথা বলেন।



অর্থমন্ত্রী প্রথমেই গভীয় শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ও জাতীয় চার নেতাকে। তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদের ৪৩তম বাজেট অধিবেশনের এই

ঐতিহাসিক মুহূর্তে  আমি বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সহকর্মী জাতীয় চার নেতাকে। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, সৈব্রাচার বিরোধী আন্দোলন ববং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-বিরোধী গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির হাতে নিহত অগণিত শহীদদের। ত‍াদের আত্মত্যাগ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের পথে আমাদের চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সকল পর্যায়ের সামরিক বেসামরিক কমর্কর্তা-কমর্চারীদের। যারা জীবনের
ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন করেছেন।

অর্থমন্ত্রী এসময় বাজেট প্রণয়নে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,  আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। আমার পরিণত বয়সে তিনি আমাকে দ্বিতীয়বারের মত সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার ওপর তার বর অকুন্ঠ আস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমি এই গুরুদায়িত্ব পালনে আমার সকল প্রয়াস নিয়োজিত রাখব।

বাজেট প্রণয়নের প্রাক্কালে বরাবরের মত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, পেশাজীবী, ব্যবসায়িক সংগঠন, বনজিড় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে কথা বলেছি।   বাজেট বিষয়ে কৃষকের চিন্তাভাবনা জানতে আমি তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়েছি। এসব সভায় অংশর্গহণকারী প্রতিটি ব্যক্তির কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

আমি চেষ্টা করেছি প্রস্তাবিত বাজেটে তাদের মূল্যবান পরামশর্গুলো যতটা সম্ভব প্রতিফলিত করতে।

অর্থমন্ত্রী এসময় মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এবং সকল প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাজেট-সংশ্লিষ্ট কমর্কর্তা ও কমর্চারীদের, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাজেট প্রণয়নের এই কষ্টসাধ্য কাজে আমাকে সহায়তা করেছেন।

অর্থমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, বাংলাদেশের রতিহাসে এই প্রথমবার একটি নির্বাচিত সরকার পূর্ণ  মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে আবারও পূর্ণ  মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছে। জনগণের রায় আমাদের সরকারের ওড়পর ত‍াদের বিপুল আস্থার নজির। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সবর্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, একটি বড় রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনকে অহেতুক বয়কট করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে।

আমরা মনে করি, সরকারের ধারাবাহিকতা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে উঁচ্চতর এক সোপানে পৌঁছে দেবে, বলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বাংলাদেশ সময় ১৬২২ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।