ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

ব্যয়ের খাতগুলো

বাজেট রিপোর্টিং টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৪
ব্যয়ের খাতগুলো

ঢাকা: ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাজেটের মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। যা জিডিপি’র ১৮.৭ শতাংশ।



এবারের বাজেটে অনুন্নয়নসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ১৯১ কোটি টাকা (জিডিপি’র ১২.৭ শতাংশ) এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা (জিডিপি’র ৬ শতাংশ)।
 
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সম্পাদিত কাজের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী কাজগুলোকে অর্থমন্ত্রণালয় তিনটি ভাগে ভাগ করেছে। এগুলো হলো সামাজিক অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো ও সাধারণ সেবা খাত।

প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক অবকাঠামো খাতের বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে মোট বরাদ্দের ২৫.১৬ শতাংশ। যার মধ্যে মানবসম্পদ খাতে (শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাত) বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২১.৫৮ শতাংশ।

ভৌত অবকাঠামো খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে মোট বরাদ্দের ৩০.১৫ শতাংশ। যার মধ্যে রয়েছে সার্বিক কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৪.৬৯ শতাংশ। বৃহত্তর যোগাযোগ খাতে ৯.২৪ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১৪.৬৯ শতাংশ।

সাধারণ সেবা খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে মোট বরাদ্দের ২৩.৫৮ শতাংশ। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি), বিভিন্ন শিল্পে আর্থিক সহায়তা, ভর্তুকি, রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগজনিত ব্যয় বাবদ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৩.৪ শতাংশ। সুদ পরিশোধ বাবদ প্রস্তাব করা হয়েছে ১২.৩৯ শতাংশ। নিট ঋণদান (নেট লেন্ডিং) ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হবে অবশিষ্ট ৫.৩৪ শতাংশ।
 
অর্থমন্ত্রী আশা করেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ বাস্তবতার নিরিখে যে বাজেট কাঠামো আমরা আগামী অর্থবছরে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি, তা যেমন প্রবৃদ্ধি সহায়ক হবে তেমনি মূল্যস্ফীতি সংযত রাখবে। এতে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।
 
বিগত বছরের বাজেটে সংশোধিত ব্যয় চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সর্বমোট সরকারি ব্যয়ের প্রাক্কলন ছিল দুই লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপি’র ১৮.৯ শতাংশ।

সংশোধিত বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় ৬ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৬ হাজার ২২২ কোটি টাকা। যা জিডিপি’র ১৮.৩ শতাংশ।

প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ কিছুটা হ্রাস পেয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের ব্যয় প্রাক্কলন তিন হাজার ৭০৫ কোটি টাকাসহ ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়াবে মোট ৬৩ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা।
 
অন্যদিকে, রাজস্ব ও অন্যান্য ব্যয় খাতের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ্য ভাতা, সরবরাহ ও সেবা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, অবসর ও আনুতোষিক এবং নির্মাণ ও পূর্ত খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পিপিপি, শেয়ার ও ইক্যুয়িটিতে বিনিয়োগ, রাজস্ব বাজেটের আওতায় বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কর্মসূচি এবং প্রত্যাশিত খাত থেকে স্থানান্তরের মাধ্যমে এ ব্যয়ের অর্থসংস্থান করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা ৩৬ মিনিটে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এবারের বাজেটের আকার ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। বাজেটে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল সাড়ে ৬ শতাংশ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।