ঢাকা: এবারের বাজেটে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ও প্রণোদনা কমছে প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা। তবে নতুন শিল্প স্থাপন, অভিবাসীদের জন্য প্রণোদনাসহ থাকছে কর অবকাশ সুবিধা।
বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত উপস্থাপিত বাজেট প্রস্তাবনায় (২০১৫-১৬ অর্থবছর) ভর্তুকি ও প্রণোদনা রাখা হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। যা ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৮শ কোটি টাকা কম। গত অর্থবছরে ভর্তুকি ও প্রণোদনা ছিলো ১৬ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উৎসাহ প্রদানে বহুমাত্রিক উদ্যোগ নিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কের ডেভেলপার ও এ সব অঞ্চল বা পার্কে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী বিশেষ প্রণোদনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এদেশে গাড়ির ব্যাপক চাহিদা। এখাতে আমদানি ব্যয় হ্রাস ও দেশীয় জনশক্তি কাজে লাগিয়ে সহজলভ্য গাড়ি প্রস্তুত ও এর সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারী শিল্প হিসেবে অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করছি।
দেশে যানবাহনে ব্যবহৃত টায়ার বিদেশ থেকে আমদানির জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্র ব্যয় করা হয়। তাই বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় কমাতে টায়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবও করেন অর্থমন্ত্রী।
অভিবাসীদের জন্যও প্রণোদনার যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ওয়েজ অনার্সরা দেশের সমৃদ্ধির চাকা সচল রাখতে ক্রমাগত অবদান রাখছেন। তাদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি ও বৈধ চ্যানেলে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা আনয়নকে উৎসাহিত করার জন্য ওয়েজ অনার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউরো ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, ইউরো প্রিমিয়াম বন্ড, পাউন্ড স্টার্লিং প্রিমিয়াম বন্ড অর্জিত সুদ আয়কে কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৫
ইউডি/এএ