ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

বাজেট

ভর্তুকি সরাসরি কৃষকের হাতে দিতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
ভর্তুকি সরাসরি কৃষকের হাতে দিতে হবে ছবি: সুমন শেখ-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কৃষি খাতের উন্নয়নে ভর্তুকি সরাসরি কৃষকের হাতে দিতে এবং কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

 

জাতীয় প্রেসক্লাবে বুধবার (১৫ জুন) ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭ কৃষি খাতের বরাদ্দ ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এ সুপারিশ করেন।

ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ (ইক্যুইটিবিডি), ক্যাম্পেইন ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল) যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।

এতে সংসদ সদস্য টিপু সুলতান বলেন, শিল্পখাতে আমরা বিপ্লব না ঘটাতে পারলেও কৃষি খাতে পারবো। এ মুহূর্তে কৃষিখাতে ভর্তুকি দিতে না পারলে বিপর্যয় নেমে আসবে। কৃষক ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেওয়া সে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য হুমকি।

তিনি বলেন, নদীগর্ভে বিলীন হওয়া জমি কৃষককে ফিরিয়ে দিতে, জমি ও ফসল সুরক্ষায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ, বীজ সংরক্ষণ ও ভর্তুকি সরাসরি কৃষকের হাতে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম বলেন, কৃষি খাতে ভর্তুকির প্রয়োজন নেই, ভর্তুকির পরিবর্তে বিনাশর্তে ঋণের ব্যবস্থা করলে কৃষক অনেক লাভবান হবেন। কৃষি যন্ত্রাংশে যে সুবিধা দিয়ে থাকে তা সাধারণ কৃষকদের কাজে আসে না। সেক্ষেত্রে যন্ত্রাংশ স্বল্প সুদে কৃষকদের পাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্যের জন্য কৃষকের সঙ্গে মার্কেটিং চ্যানেলের যোগাযোগ গড়ে উঠেনি, সেজন্য কৃষক ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। রপ্তানিতে বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও রপ্তানির সঙ্গে কৃষকের কোনো অংশগ্রহণ নেই, সেটা গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন এ সংসদ সদস্য

আরেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল বলেন, ভর্তুকি কৃষকের হাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। মধ্যসত্ত্বভোগীদের পেটে চলে যায় এসব ভর্তুকি। কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সমন্বয় থাকলে কৃষিতে অস্থিরতা বিরাজ করতো না। এক্ষেত্রে মনিটরিং জোরদার করা দরকার।

কৃষিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি ভতুর্কি ২৫ শতাংশ কমিয়ে ৯ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। যা দেড় কোটি কৃষকের জনপ্রতি ৬ হাজার টাকা। গত দু’বছর কৃষি মন্ত্রণালয় ভর্তুকির টাকা খরচও করতে পারেনি। সরকার চাইলে কৃষকদের ১০ টাকার অ্যাকাউন্টে সরাসরি ভর্তুকির টাকা দিতে পারতো। প্রকৃত কৃষক কৃষি ঋণ পায় না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে পারে আমরা কেন নেই? কৃষি বাঁচাতে হলে এ নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে।

সিএসআরএল’র সাধারণ সম্পাদক শার্মিন নিলোর্মির সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইক্যুইটিবিডি’র মোস্তফা কামাল আকন্দ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
আরইউ/জিসিপি/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।