ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

জমি নিবন্ধনে কর কমানোর প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৮
জমি নিবন্ধনে কর কমানোর প্রস্তাব প্রাক-বাজেট আলোচনায় বক্তারা

ঢাকা: কালো টাকা ঠেকাতে আগামী অর্থবছরের (২০১৮-১৯) বাজেটে জমি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি, নিবন্ধনসহ অন্যান্য কাজে করের হার কামোনোর প্রস্তাব দিয়েছে আইনজীবীদের দুটি সংগঠন।

সোমবার (০৯ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় ১০ খাতের সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেন।

এ সময় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মতিন বলেন, ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে চুক্তি মূল্য বা সাইনিং মানির অর্থের ওপর ১৫ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর আদায় করা হয়। অথচ জমি বিক্রি করলে নিবন্ধনের সময় কর দিতে হয় ৪ শতাংশ। অ্যাপার্টমেন্টে সাইনিং মানির ওপর অনেক বেশি কর হওয়ায় অনেকেই প্রকৃত অর্থের চেয়ে অনেক কম দেখাচ্ছেন কিংবা দেখাচ্ছেন না।

এছাড়া অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করতে করের হার আরো কমানোর প্রস্তাব করে কর আইনজীবী সমিতি। কর আইনজীবীদের দুটি সংগঠন মনে করে, আবাসিক ভবন বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর কমিয়ে আনলে আবাসন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে।

সংগঠন দু’টির বাকি প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- কর আইনজীবীদের জন্য নির্দিষ্ট কোড নম্বর দেওয়া, নতুন করদাতার ক্ষেত্রে প্রদর্শিত আয়ের পাঁচগুণ মূলধন নিলে পাঁচ বছরের মধ্যে অন্যত্র বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শর্ত শিথিল করা, আয়কর ফাইল অডিটের ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা, প্রতিষ্ঠানের কর্মীর বেতন ১৫ হাজার টাকার উপরে হলে ব্যাংকে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা ৩০ হাজার টাকা করা, কর সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে আদালতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কর পরিশোধের হার কমানো।

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প সমিতির পক্ষ থেকে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কমানো এবং দ্বৈত কর পরিহার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। রফতানিমুখী জাহাজ নির্মাণ শিল্প সমিতির পক্ষ থেকে এ খাতকে রফতানিমুখী শিল্প হিসেবে ঘোষণা করে রপ্তানিকারকদের ন্যায় সব সুবিধা দেওয়া এবং কর ও ভ্যাটের হার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্টস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পরামর্শকদের আয়কর ও ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব দেন।

ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে বহুজাতিক কোম্পানির বোনাস শেয়ার ইস্যু না করে অত্যধিক নগদ লভ্যাংশ ঘোষণায় রাশ টানার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ২শ’ শতাংশের বেশি নগদ লভ্যাংশের উপর কর আরোপের প্রস্তাব করা ছাড়াও আয়কর ও ভ্যাট বিষয়ে বেশকিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।