ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ করার প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ করার প্রস্তাব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পারমর্শক কমিটির সভা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা, করপোরেট কর ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানো এবং ব্যক্তিগত করদাতার প্রদর্শিত নিট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জের শূন্য শতাংশের সীমা ৩ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করাসহ ১৬৬টি প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পারমর্শক কমিটির ৩৯তম সভায় এসব প্রস্তাব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিতত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এ সময় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এফবিসিসিআই-এর সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আসছে বাজেটে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আয়কর, আমদানি শুল্ক ও মূসক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রস্তাব করছি। এর মধ্যে আয়করে প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা, করপোরেট কর ২ দশমকি ৫ শতাংশ কমিয়ে সকল কোম্পানির করের হার ২৫ শতাংশ এবং মূসক নিবন্ধনকারী তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ট্রেডিং কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ করা।

ব্যক্তিগত করদাতার প্রদর্শিত নিট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জের শূন্য শতাংশের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা। আমদানি ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, মাল্টিলেয়ার ট্যাক্সেশন অর্থাৎ লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়।

অন্যদিকে আমদানি শুল্ক সম্পর্কিত প্রস্তাব যেমন- দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বর্ধিত হারে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান এবং ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে শুল্ক স্তর ১, ২, ৫, ১০ এবং ২৫ শতাংশের পবিবর্তে ১, ২, ৩, ১০, ২৫ শতাংশ নির্ধারণ প্রস্তাব করার পাশাপাশি দেশীয় শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল এবং রসায়নিক জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ শুল্ক স্তর নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।

এছাড়াও স্টিল ও লোহা জাতীয় পণ্য, চিনি, সিমেন্ট ক্লিংকার, পোট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যসহ ৪৭টি পণ্যে স্পেসিফিক ডিউটি ফি রয়েছে তার অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেন এফবিসিসআই সভাপতি।

নতুন ভ্যাট আইনের রেগুলেটরি ইম্প্যাক্ট এসেসমেন্ট, ভ্যাট অনলাইন নিবন্ধন সম্পর্কিত বিধি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন, ১৯৯১ সালের মূল্য সংযোজোন কর বিধিমালার ১৮(ঙ) ধারা রহিতকরণ এবং তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন সংশ্লিষ্ট পণ্য সরবরাহের সঙ্গে সংযুক্ত খাতে ভ্যাট প্রত্যাহার, বেশ কিছু বিষয়ে মূ্ল্য সংযোজন কর সম্পর্কিত প্রস্তাব করা হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আসছে বাজেট হবে ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। এতে বর্তমান বাজেটের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হবে ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। ফলে সরকারের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জাতীয় মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১৭৫২ মার্কিন ডলারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এমএফআই/এমএএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।