ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

আগামী বাজেট হবে জনকল্যাণমূলক: এনবিআর চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
আগামী বাজেট হবে জনকল্যাণমূলক: এনবিআর চেয়ারম্যান প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন- এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট জনকল্যাণমুখী ও ব্যবসাবান্ধব হবে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। 

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশের বাজেট এখন চার লাখ কোটি টাকা, যা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে খুলনা বিভাগের অংশীজনদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরো বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে আয়করের সীমা আড়াই লাখ টাকার পরিবর্তে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা যায় কিনা তা বিবেচনাধীন আছে। তিনি মোংলা বন্দরকে আরো গতিশীল ও কাস্টমস হাউজকে আরো সক্রিয় করার পরামর্শ দেন। এছাড়া ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ২৭ প্রকারের অধিক পণ্য আমদানি ও সব ক্ষেত্রে সাফটা নিয়ম একই করার ঘোষণা দেন।

ব্যবসায়ীদের আমদানির ওপর বেশি জোর না দিয়ে রফতানির ওপর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ বাজেটেও মূল্যসংযোজন করের ফ্লাট রেট ১৫ শতাংশ না হয়ে বর্তমানে বিদ্যমান বিভিন্ন সেবার জন্য ভিন্ন ভিন্ন হার থাকছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যশোরকে কর অঞ্চল করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজী আমিনুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. ফিরোজ শাহ আলম (শুল্ক নীতি ও আইসিটি), কানন কুমার রায় (কর-নীতি), মো. রেজাউল হাসান (মূসক নীতি)। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, কর আপিলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতারা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।

বাজেট আলোচনায় বক্তারা করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকায় নির্ধারণ, ভ্যাটের হার বৃদ্ধি না করা, মোংলা বন্দরে আমদানি পণ্য নির্ধারণ করা, ভোমরা স্থলবন্দরে সাপটা কার্যকর করা, কর আইন সম্পর্কে দক্ষদের ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ দেওয়া, কর দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করা এবং সব প্রকার হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।