ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

আগের দামেই সার পাবেন কৃষক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
আগের দামেই সার পাবেন কৃষক গ্রাফিক্স ছবি

ঢাকা: ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দামে ২০১৯-২০ অর্থবছরেও রাসায়নিক সার পাবেন কৃষক। কৃষিতে প্রয়োজনীয় প্রধান প্রধান রাসায়নিক সারের আমদানিমূল্য যাই হোক না কেন, আগের দামেই কৃষকের কাছে সেগুলো বিক্রি করবে সরকার। একই সঙ্গে কৃষকদের প্রতি সরকারের কৃষি প্রণোদনাও থাকবে অব্যাহত।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার এ বাজেটে কৃষিখাত থাকছে মোটামুটিভাবে গত অর্থবছরের মতোই।


 
সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়, কৃষিতে রাসায়নিক মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রণোদনা দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে এবং এর ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় তা কৃষিপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা রেখেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই খাতে ৫ হাজার ২০১ কোটি টাকা সরকারের ব্যয় হয় বলে বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়। এবারও কৃষক পর্যায়ে সারের মূল্য অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ করায় এবারও এই খাতে ব্যয় অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
বাজেট বকৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধান প্রধান রাসায়নিক সারের আমদানি মূল্য কোনো কোনো সময় বাড়লেও কৃষকদের স্বার্থে সরকার দেশীয় বাজারে সারের বিক্রয়মূল্য অপরিবর্তিত রেখেছে যা পরোক্ষভাবে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করেছে। আগের মতো আমদানি খরচ যাই হোক না কেন, আগামী অর্থবছরের রাসায়নিক সারের বিক্রয়মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে এবং কৃষি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।
 
২০১৯-২০ অর্থবছরে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় ফসলের বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন কার্যক্রমে গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। বন্যা, খরা, লবণাক্ত ও অধিক তাপমাত্রা সহিষ্ণু ফসল এবং বহুমুখী পাটপণ্য উদ্ভাবনের গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয় বাজেটে। গবেষণার মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন ফসলের ১৫টি নতুন জাত ও ১০টি জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।  
 
কৃষির উন্নয়নের জন্য স্বাভাবিক বিনিয়োগের অতিরিক্ত হিসেবে কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনাও অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে, বিদ্যুৎচালিত সেচ যন্ত্রের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ বিলের ওপর ২০ শতাংশ রিবেট প্রদানও অব্যাহত রাখা হবে বলে বাজেটে জানানো হয়।
 
ফসল কর্তন ও পরবর্তী কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় কাজগুলো যান্ত্রিকীকরণে কৃষকদের উৎসাহিত করতে এসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। দেশে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী প্রায় ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন কৃষক এসব সুবিধা পাবেন।
 
নিজ বক্তৃতায় দেশের প্রায় ৪০ দশমিক ৬২ শতাংশ মানুষ কৃষিখাতে নিয়োজিত বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দেশে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পেলেও বিগত ১০ বছরে কৃষিখাতে ৩.৭ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলেও প্রস্তাবিত বাজেটে উল্লেখ করা হয়। আর এর জন্য কৃষকদের পরিশ্রমই দায়ী বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
 
কৃষকদের পরিশ্রমে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ, সবজিতে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম এবং আলু উৎপাদনে অষ্টম অবস্থানে আছে বলেও জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।