ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

‘শৃঙ্খলা রক্ষায় আর্থিক খাতকে সংস্কার করা হবে’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
‘শৃঙ্খলা রক্ষায় আর্থিক খাতকে সংস্কার করা হবে’ সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: পিআইডি

সংসদ থেকে: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশে উন্নত ঋণ সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঋণ গ্রহীতারা যাতে নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে সক্ষম হয়, সে লক্ষ্যে আর্থিক খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বড় ঋণগুলোকে আরও নিবিড় পরিবীক্ষণ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে সেন্ট্রাল ডাটাবেজ লার্জ ক্রেডিট (সিডিএলসি) গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতার সময় তিনি এসব কথা বলেন।  

অর্থমন্ত্রীর অনুরোধে তার পক্ষে সংসদে বাজেট বক্তৃতার বেশিরভাগ অংশ পড়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তা ঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ ও  আমানতের গড় ভারিত সুদহারের ব্যবধান ৪ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমরা ব্যাংকের মূলধনের পরিমাণ বাড়াবো।

বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রয়োজন বোধে ব্যাংক একীভূতকরণ প্রয়োজন হলে সেটা যে আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা যায়; তার জন্যও ব্যাংক কোম্পানি আইন এ প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।

‘দেশের শিল্প ও ব্যবসা খাতে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করার লক্ষ্যে আমরা ব্যাংক ঋণের ওপর সুদের হার এক অংকের উপর দেখতে চাই না। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ’

তিনি বলেন, যেসব ঋণ গ্রহীতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন পরিশোধ না করার জন্য (ইচ্ছাকৃত খেলাপি), সেই সমস্ত ঋণ গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের সময় রাষ্ট্রপতি মো, আব্দুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এসকে/এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।