ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

সম্ভাব্য ব্যয় ৮০ বিলিয়ন ডলার

‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি’ পরিকল্পনার খসড়া অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি’ পরিকল্পনার খসড়া অনুমোদন

ঢাকা: আমাদের উন্নয়ন টেকসই করতে জলবায়ুকে বিবেচনায় নিতে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি’ পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে  মন্ত্রিসভার বৈঠক এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজকের সভায় মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আমাদের ডেল্টাপ্লান আছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে চান তার একটা পরিকল্পনা রয়েছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা রযেছে। সেগুলো অর্জন করার প্রক্রিয়ায় যেন ক্লাইমেন্ট ইস্যুটা সব সময় বিবেচনায় নেই। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন যাতে টেকসই হয়। জলবায়ু দিক থেকে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হব, সেগুলো যাতে সরকারের বিশেষ নজর ও অগ্রাধিকার পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। আজকে সেই খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

খসড়ায় কী কী থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্রাধিকার কাজে বলা হয়েছে অভিযোজন তরান্বিত করা যায়, প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ শ্রম ও ভবিষ্যৎ সহনশীলতায় যাতে আমরা উত্তরণ করতে পারি সেটার একটা এলাকা আছে। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য যে ব্যয় করতে হয় সেটার রাজস্ব আহরণে ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে কথা হয়েছে। সমন্বিত জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে। আর একুশ শতকের প্রযুক্তি ব্যবহারে মানব কল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতের সহিষ্ণুতা কমানোর কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, মূল বিষয়টা হলো আমরা কীভাবে বিপদাপন্ন থেকে সহিষ্ণুতায় যাব এবং সহিষ্ণুতা থেকে আমরা উন্নয়নের দিকে যাব- ঠিক তার একটি রোডম্যাপ তৈরি করা।

অর্থায়নটা কতো বা কীভাবে হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ৮০ বিলিয়ন ইউএস ডলার লাগবে। এই পরিমাণ অর্থায়ন যদি ২০৪১ সাল নাগাদ করতে পারি তাহলে প্রতিবছর ৫০ মিলিয়ন ডলার আমাদের যোগ হবে। আর জলবায়ু ঝুঁকির কারণে আমাদের জিডিপি হ্রাসের যে প্রবণতা আছে সেটা বন্ধ করা সম্ভব হবে। প্রতি ৫ বছর পর পর এটি রিভিউ করা হবে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর ২০৩০ সালে এটি বিশেষ রিভিউ করা হবে।

বাজেটে কোনো বরাদ্দ থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার জন্য কোনো নির্দিষ্ট বাজেট থাকবে না। এখানে যেহেতু বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কাজ করবে তাই তাদের নিজস্ব বাজেট থেকে ব্যয় করবেন। এই যে ৮০ বিলিয়ন ডলার লাগবে সেখানে বলে দেওয়া হয়েছে জিওবি থেকে কতটুকু দেওয়া হবে। আমরা মূলত টার্গেট করেছি আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু সংক্রান্ত কিছু ফান্ড তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে যাতে আমরা বেশি করে সহায়তা পাই সেদিকে ফোকাস করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি আমাদের নিজস্ব প্লান, এর মূল উদ্দেশ্য হলো আমরা যে উন্নয়নের রূপরেখা ও লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, সে লক্ষ্য অর্জন করাটা যেন টেকসই হয়। সেটা যেন ক্লাইমেট সেনসেটিভ হয় সেটাই মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭,২০২৩
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।