ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

উপকূলীয় বাঁধ সংস্কারে বাঁধ রক্ষার বনায়ন ধ্বংস!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
উপকূলীয় বাঁধ সংস্কারে বাঁধ রক্ষার বনায়ন ধ্বংস!

সাতক্ষীরা: উপকূলীয় বাঁধ রক্ষার জন্য বনায়ন করা হলেও সেই বনায়ন ধ্বংস করেই বাঁধ সংস্কার চলছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। বিষয়টি একাধিক বার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও প্রতিকার পায়নি স্থানীয়রা।

 

সূত্র মতে, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জের পূর্বকালিনগরে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৪৮ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কাজটির মূল ঠিকাদার যশোরের মুহিত উদ্দিন হলেও সাব ঠিকাদার হিসেবে আশাশুনির মইনুল ইসলাম কাজটি করছেন। কিন্তু ঝুড়ি কোদাল দিয়ে কাজ না করে বেশি লাভের আশায় এক্সকাভেটর মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে এ কাজে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে বৃক্ষরাজি।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, এক্সকাভেটর মেশিন চালানোর জন্য নির্বিচারে সামাজিক বনায়নের হাজার হাজার গাছ  কেটে ফেলা হচ্ছে।

স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ সুভাষ মণ্ডল বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি বাঁধ সংস্কার করতে ঝুড়ি কোদাল দিয়ে কাজ করতে। এতে গাছের কোনো ক্ষতি হতো না। কিন্তু এখন দেখছি, মেশিন দিয়ে বাঁধ সংস্কার করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলছে। খুব কষ্ট করে গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। গাছ কাটা দেখে খুব খারাপ লাগছে।
 
পরিবেশবিদরা জানান, ষাটের দশকে বাঁধ রক্ষার জন্য সামাজিক বনায়ন করা হয়। কিন্তু এখন ঠিকাদার ও পাউবো কর্মকর্তার সহযোগিতায় অধিক লাভের আশায় এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে কাজ করার কারণে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। এভাবে গাছ কাটলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এছাড়া সংস্কার করা বাঁধ টিকিয়ে রাখতে গাছের প্রয়োজন। কিন্তু যে গাছ কাটা হয়েছে, এগুলো আগামী ২০ বছরেও লাগাতে পারবে না।

গাছ কাটার বিষয়ে সাব ঠিকাদার মইনুল ইসলাম বলেন, মেশিন দিয়ে কাজ করার স্বার্থে কিছু গাছ কেটেছি।

এ বিষয়ে পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদাউস বলেন, আমরা কাউকে গাছ কাটতে বলিনি। কেউ যদি গাছ কাটে, আমরা কি করতে পারি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি নিজে যেয়ে দেখব। আপাতত স্থানীয় চেয়াম্যানকে বলে দিয়েছি, কাটা গাছগুলো জব্দ করতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।