ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

‘মোখা’ মোকাবিলায় বরগুনায় প্রস্তুত ৬৪২ আশ্রয়কেন্দ্র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
‘মোখা’ মোকাবিলায় বরগুনায় প্রস্তুত ৬৪২ আশ্রয়কেন্দ্র

বরগুনা: বরগুনায় উপকূলীয় অঞ্চলে বিরাজ করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্ক। মোখার কারণে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

 বৃহস্পতিবার (১১মে) সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ প্রস্তুতি সভা হয়। এতে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

সভায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।  

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বরগুনায় ৬৪২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়ন কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

পাশাপাশি বেতাগী এবং বামনা উপজেলা ছাড়া জেলার বাকি চার উপজেলায় সিপিপির মোট ৮ হাজার ৪৬০ জন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৩০০ জন, জাগনারী ১৫০ জন, ব্র্যাক ৩৫৫ জন ও রোভার স্কাউট ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।

জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, সাগর ও বিভিন্ন নদ-নদীতে থাকা নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় আমাদের এলাকায় আঘাত হানে তাহলে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে বরগুনার পাথরঘাটা এবং তালতলী উপজেলার সব ইউনিয়ন, বেতাগী উপজেলার এক তৃতীয় অংশ ও সদর উপজেলার বদরখালী, ৭ নম্বর ঢলুয়া, আয়লা পতাকাটা ও ফুলঝুড়ি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় বরগুনা জেলায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলের এলাকাগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ মারা যান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩ 
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।