পঞ্চগড়: গত তিনদিন ধরে পঞ্চগড়ে লাগাতার ভারী বর্ষণে বিপাকে পড়েছেন জেলার মানুষ। তবে সব থেকে বেশি বিপাকে সাধারণ নিম্ন আয়ের জনগণ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবের কারণে গত ৩০ ঘণ্টায় এ জেলায় ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কখনো ভারী আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাচ্ছে। আরও সাতদিন এভাবেই বৃষ্টি হতে পারে। এর মাঝে কখনো ভারী আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টিপাতের কারণে কিছুটা স্থবিরতা দেখা যায়। জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল কিছুটা কম ছিল।
স্থানীয়রা বলেন, তিনদিন ধরে বৃষ্টি ঝড়ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই দুর্ভোগে পড়েছেন।
শহরের পান বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে মানুষ বাজার আসছে না। এতে বিক্রিও অনেক কম হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে টানায় পড়ে গেছি।
রিকশাচালক নজরুল বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বাজারের সব জিনিসের দাম বাড়তি। এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে আয় রোজগার কমে গেছে। মানুষজন বাড়ি থেকে তেমন বের হচ্ছে না। যারা বের হচ্ছে, তারা রিকশার পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। যেখানে প্রতিদিন ৫০০ টাকার ওপর আয় হতো, সেখানে ২০০ টাকা হওয়াও মুশকিল।
এদিকে প্রয়োজনের তাগিদে বৃষ্টিতে ভিজে নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রুকুনুজ্জামান রোকন বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর পরের ছয় ঘণ্টায় দুপুর ১২টায় ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এনিয়ে গত ৩০ ঘণ্টায় টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৬৮ মিলিমিটার। বৃষ্টির মাঝে রোববার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে গতকাল শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এসআই