ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারী) থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

 

সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় এবং উত্তরের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুন। সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা জনপদ, ফলে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, শনিবার (১৩ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চুয়াডাঙ্গার এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটারে নেমে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপমাত্রা আরও ২/১ দিন অব্যাহত থাকবে। আসছে সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।  

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের কারণে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে সদর হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘শীতে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কয়েকদিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তীব্র শীতে বেশি নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এসব রোগীদের চিকিৎসা এবং সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। টাটকা ও গরম খাবার খেতে হবে। কোনোভাবেই বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। পানি ফুটিয়ে পান করাতে পারলে ভালো। আর শিশুদের সকাল সন্ধ্যায় গরম পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে। কোনো ভাবেই বেশি ঠাণ্ডা লাগতে দেওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।