ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

গবাদি পশু-পাখির ১৭ টিকা এখন দেশেই

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৫
গবাদি পশু-পাখির ১৭ টিকা এখন দেশেই

ঢাকা: গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির বিভিন্ন রোগ-বালাই প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এখন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে ১৭ ধরনের টিকা।

২০০৬ সালে এর সংখ্যা ছিল মাত্র ১১টি।



প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অধীনে দেশের একমাত্র টিকা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের (এলআরআই) এক তথ্যে দেখা গেছে, দেশের ১৭ ধরনের টিকা উৎপাদন করা হয়।

এলআরআই পরিচালক ডা. সতীন্দ্র নাথ দাস বাংলানিউজকে জানান, ১৭টির মধ্যে ৯টি হাঁস-মুরগির এবং ৮টি গবাদি পশুর জন্য।

১৭ ধরনের টিকার মধ্যে ১০টি টিকার দেশীয় মাস্টার সিড উন্নয়ন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।

বাকি ৭টি টিকার মাস্টার সিড বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।

আমদানি করা টিকার কাযর্কারিতা তুলনামূলকভাবে কম।

তিনি আরও জানান, মাস্টার সিড হচ্ছে প্রত্যেকটি টিকার মূল বীজ যার থেকে অল্প পরিমাণ নিয়ে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে বহু গুণ বৃদ্ধি করে কাঙ্খিত পরিমাণে টিকা উৎপাদন করা হয়।

এলআরআই সূত্র জানায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট ২০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করা হয়।

টিকা উৎপাদন প্রযুক্তি আধুনিকায়ন ও গবেষণাগার সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে এই সফলতা অর্জন করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই সময় প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল ৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

টিকার চাহিদার কথা চিন্তা করে আবারও সময় ও ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে প্রকল্পের।

এতে মোট ব্যয় ধরা হচ্ছে ১৫৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

অপরদিকে সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে জুন ২০১৬ সাল নাগাদ।

অথচ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের জুন মাসে।

প্রকল্প প্রসঙ্গে মৎস ও  প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পের আওতায় শুরু থেকেই ‍দু’জন ভ্যাকসিন কনসালটেন্ট কাজ করছেন।

তাদের পরামর্শক মোতাবেক সম্পূর্ণ সিস্টেম অটোমেশনের জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন এবং ইক্যুপমেন্টস, কেমিক্যাল, রিওএজেন্ট ও গ্লাসওয়্যার আইটেমের প্রস্তাব করা হচ্ছে।

দেশের টিকার চাহিদার কথা চিন্তা করে প্রকল্পের কাজ সম্প্রসারণ করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় আরও ৩৬ জনবলও নিয়োগ করা হবে।

সময়ের সঙ্গে টিকা চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।