গালিবাজ মানুষ কথায় কথায় কারণে অকারণে কেবল খিস্তি ঝাড়ে। নোংরা কথা না বললে যেন গালিবাজদের পেটের ভাতই হজম হয় না, রাতে ভালো ঘুমও হয় না।
লোকে তাই গালিবাজদের তেমন ঘাঁটায় না। ওদের এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। কিন্তু গালিবাজটি যদি আপনার নিজের বাড়িরই বাসিন্দা হয় তাহলে? না পারবেন পালাতে, না পারবেন খিস্তির তোড়ে টিকতে। এবার এমনই এক গালিবাজের পাল্লায় পড়েছে গোবেচারা এক কুকুর।
কি, অবাক হলেন বুঝি? ঘটনা কিন্তু সত্য। তাহলে এবার শুনুন আরো একটা সত্য।
গালিবাজটা কিন্তু মানুষ নয়; পুঁচকে এক রাগী কাকাতুয়া। এরই মধ্যে নিজে থেকেই জগতের সব নোংরা অশ্রাব্য গালি শিখে নিয়েছে সে। সারাক্ষণই রাগে ওর চাঁদি গরম হয়ে থাকে। আর গালিটা হজম করতে হয় ওর সর্বসময়ের সঙ্গী ও খেলার সাথী বেচারা নিরীহ কুকুরকে।
ওই কাকাতুয়াটি কোন দেশের সেটা জানা যায়নি। তবে যে পত্রিকায় ওর খবর ছাপা হয়েছে সেটি ইংল্যান্ডের।
খিস্তিবাজ ওই কাকাতুয়াটির নাম এরিক। খিস্তিবাজির কারণে এরই মধ্যে এরিক ইন্টারনেট-তারকা বনে গেছে—
‘‘ cockatoo became an internet star - thanks to a foul-mouthed tirade.’’
সংবাদমাধ্যমে ওর গালিকাণ্ডের একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, গালিবাজ এরিক বাবু মশাইয়ের মতো ঘরের সোফার ওপর জাকিয়েঁ বসে আছে। আর ওর সামনে নির্দেশ পালনের অপেক্ষায় কাঁচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভীত-সন্ত্রস্ত কুকুরটি।
এর পরের দৃশ্য: রাগী কাকাতুয়া এরিকের মন পেতে কুকুরটি যেই না দিল একটা ছোটখাট লাফ, তখনই মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে উঠলো এরিক। কুকুরটা দিকে প্রথমে থুথু ছিটালো সে। তারপর শুরু করলো অকথ্য-অশ্রাব্য গালি।
ওদের মালকিন যে মহিলা তিনি তো এসব দেখে বিস্ময়ে থ! তিনি ওর গালি থামাতে রাগের সাথে ওর নাম ধরে ডাকলেন-----‘’এরিক! ওর সঙ্গে (কুকুরটার সঙ্গে) লাগছো কেন?’’
মালকিনের উপস্থিতিতে কুকুরটা এবার আনন্দে দিলো আরো একটা লাফ। এবার এরিক গেল আরো বেশি রেগে। আরো বেশি অশ্রাব্য গালির তুবড়ি ছুটলো ওর মুখে।
মালকিন এবার এরিককে দিলেন কষে একটা ধমক—‘’এরিক ওর সাথে লাগতে যেও না বলে দিচ্ছি। ’’
মালকিন ক্ষেপে গেছেন দেখে এবার সে থামলো। তবে থামার আগে অনুচ্চ স্বরে কুকুরটাকে এবারও দিল গালি। তবে এবারেরটা ভদ্রজনোচিত গালি—‘’বুদ্ধু কোথাকার’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৫
জেএম