ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ডিমলায় যত্রতত্র চলছে বক শিকার

নুর আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
ডিমলায় যত্রতত্র চলছে বক শিকার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নীলফামারী: শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানান প্রজাতির বক শিকারে মেতে উঠেছেন এক শ্রেণির মানুষ।

সামাজিক অসচেতনতা ও পেটের তাগিদে মৌসুমী এ শিকারিদের হাতে প্রতিদিনই মারা পড়ছে বক।

পরে তা বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে স্থানীয় বিভিন্ন হাট-বাজারে।

মূলত জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ডিমলা উপজেলার অর্ধশতাধিক মৌসুমী শিকারি প্রতিদিন ভোর থেকে দিনের প্রথম প্রহর পর্যন্ত ফসলি মাঠ ও ধানক্ষেতে খাঁচা বসিয়ে বক শিকার করছেন।

সম্প্রতি ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুমারপাড়া, নটাবাড়ী, তেল্লাই বিল, ধোপার পাড়সহ বেশকিছু স্থান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

প্রতিনিয়ত এভাবে বক শিকার করায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এতে বিলুপ্ত হতে বসেছে পরিবেশ রক্ষাকারী বক।

বকশিকারি খড়িবাড়ী গ্রামের মমতাজুল ইসলাম (৪২), নাউতারা নিচপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন (২৮), রফিকুল ইসলাম (২৫), আব্দুল হালিম (২৭) ও সচিন খানের (২৪) সঙ্গে কথা হয়।

তারা জানান, প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত বক শিকার করেন তারা। এজন্য কলাগাছের ফাঁদ তৈরি করে তার ওপর নিজের পোষা বক বসিয়ে দেন। পোষা বকের ওড়াওড়ি দেখে তার সঙ্গে এসে ফাঁদে আটকা পড়ে অন্যান্য বক।
 
পরে তারা এসব বক স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে দেড় থেক দুইশ টাকা জোড়া হিসেবে বিক্রি করেন।
 
পাখি শিকারী সচিন খান, মমতাজুল ইসলাম ও মিলন হোসেন জানান, পাখি শিকার নিষিদ্ধ তা তারা জানেন। কিন্তু পেটের দায়ে তাদের এ কাজ করতে হচ্ছে। এ সময়ে প্রায় তিন মাস তারা এভাবে পাখি শিকার করে সংসার চালান।

কুমারপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শীত মৌসুম আসলেই পাখি শিকারিরা গ্রামের চারপাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে উড়ে আসা বকসহ বিভিন্ন পাখি নির্বিচারে শিকার শুরু করেন।

আইনি পদক্ষেপ ছাড়া এ শিকার বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য তার।
 
যোগাযোগ করা হয় রংপুর সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক ড. প্রান্তোষ রায়ের সঙ্গে।

তিনি বলেন, পাখি শিকার আইনত নিষিদ্ধ। ডিমলায় বক শিকার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নেওয়া হবে। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। শিকারিরা ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।