শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): মৌলভীবাজারের অন্যতম মৎস্য ভাণ্ডার হাইল হাওরে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকার জাল জব্দ করে পুড়িয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিশ্চিত করা হয়েছে হাওরাঞ্চলে মাছের অবাধ চলাচল।
অভিযানে অনেকটা মুক্ত হয়েছে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রায় দশ হাজার হেক্টরে বিশাল মৎস্যভাণ্ডারটি।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিলগুলো অবমুক্ত করা হয়। এতে আটকে থাকা মাছগুলো পুরো হাওরে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পাবে।
জেলা ডেপুটি রেভিনিউ কালেক্টর (আরডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম সালাইউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, জাল দিয়ে মাছ নিজেদের দখলে আটকে রাখা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। এটি জলমহাল বন্দোবস্ত শর্তাবলীর পরিপন্থী। মাছের চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছ ধরা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বেরি বিল দখলমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকার অবৈধ জাল আটক করেছি। শ্যাওয়া বিল, কাঠালি বিল, বাষট্টি বিলের জালগুলো জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মৎস্যজীবী শাহীন আলী ও আব্দুল মমিন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের এমন অভিযান আমাদের প্রাণের দাবি। এর ফলে আটকে থাকা মাছগুলো পুরো হাওরে ছড়িয়ে পড়বে। আবার আমরা মাছ ধরে, বিক্রি করে পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বেঁচে থাকতে পারবো।
তারা আরও বলেন, কিছু কালেন্ট জাল এখনো বিলে রয়ে গেছে। পরবর্তীতে আবারো ভ্রাম্যমাণ আদালত পারিচালনা করা হলে অপরাধীরা এভাবে অবৈধ মাছ শিকার করতে পারবে না।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুরুল হুদা, ৫ আনসার ব্যাটালিয়নের গ্রুপ কমান্ডার এপিসি আবু দাউদ খান এবং শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন ঘোষ।
এছাড়া মাছরাঙা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি রোকাম উদ্দিন, সম্পাদক সেলিম আহমেদ, মৌলভীবাজার হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাসদ নেতা আবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
বিবিবি/এএ