চট্টগ্রাম: ‘প্রজাপতিটা যখন তখন উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে রাঙা মেঘের মতন বসে আমার আকাশ জুড়ে’ গানের মতো প্রজাপতির ওড়াওড়ি দেখতে কার না ভালো লাগে। স্বচ্ছ পাখায় এত বর্ণিল, এত বৈচিত্র্যপূর্ণ নকশা সহজেই নজর কাড়ে শিশু-কিশোরদের।
দেশে শুধু প্রজাপতিকে ঘিরে একমাত্র থিম পার্ক এটি। নগরীর দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে পতেঙ্গায় ছয় একরের বেশি জমির ওপর অসাধারণ পার্কটি যাত্রা শুরু করেছিল ২০১২ সালে। যেখানে জালের খাঁচায় এখন ১১ প্রজাতির কয়েকশ প্রজাপতির ওড়াওড়ি মুগ্ধ করে দেশি-বিদেশি দর্শকদের।
বাটারফ্লাই পার্কে সারা দিন প্রজাপতি দেখতে ভিড় করে নানা বয়সী মানুষ। বিশেষ করে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রিয়জনকে অভ্যর্থনা বা বিদায় জানাতে আসা অপেক্ষমাণ স্বজনরা কিছুক্ষণ সময় কাটান এখানে।
জীবন্ত প্রজাপতির বাইরে এখানে দর্শকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে আছে বিশাল সংগ্রহশালা। শত শত মৃত প্রজাপতি বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আছে দুর্লভ প্রজাপতির ছবি। প্রজাপতির মজার মজার সব তথ্য আপনাকে জানাতে প্রস্তুত পার্কের কর্মকর্তারা।
প্রজাপতি দেখতে দেখতে ক্লান্তি বোধ করলে আছে হালকা রিফ্রেশমেন্টের ব্যবস্থা। হাঁটাহাঁটির পর্যাপ্ত জায়গা, বাগান। চাইলে সেরে ফেলতে পারেন সহকর্মী, সহমর্মীদের নিয়ে ছোটখাটো সভার কাজটিও। একপাশে আছে লাল রঙের বিশাল একটি ভালোবাসার চিহ্ন। যেখানে ছবি তুলে ফেসবুকে ছাড়তে দারুণ পছন্দ সবার।
প্রজাপতির বাচ্চাটা কেমন হয় দেখতে? কীভাবে উড়তে শেখে? প্রজাপতি কী খায়? প্রজাপতি কখন ঘুমায়? এসব সরেজমিন দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে বাটারফ্লাই পার্কে।
আপনার আনন্দ আরও বহুগুণ রাঙিয়ে দেবে কর্ণফুলীর অপরূপ সৌন্দর্য। নদী আর সাগরের সঙ্গমস্থল, মোহনা। আপনার নয়ন জুড়াবে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে আসা দেশি-বিদেশি বড় বড় জাহাজ, মাঝির ডিঙি নৌকা কিংবা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের অংশ হওয়া সাম্পান।
বাংলাদেশ সম: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
টিসি